চুনারুঘাট পুতুল হত্যার ঘটনায় মামালা এলাকায় উত্তেজনা
নুর উদ্দিন সুমন (হবিগঞ্জ):
জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের গোয়াছপুর গ্রামে রাস্তা সংক্রান্ত আইল নিয়ে সংঘর্ষে হত্যার ঘটনায় মামালা দায়ের। নিহতর ছেলে সাব্বির ওরফে নাঈম বাদী হয়ে লিল মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৮জনে নাম উল্লেখ করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরই প্রতিপক্ষরা বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে আত্নগোপনে আছেন। আর এ সুযোগে সুবিধাভোগী পক্ষ আসামী পক্ষের গরু, ছাগল , হাস,মোরগ, ও বসবাসের দামী জিনিস পত্র লোটপাঠ করতে শুরু করেছে। ব্যাপক ভাংচুর করেছে ভিটে বাড়িতে। গোয়াছপুর গ্রামে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়। ইউনিয়নের গোয়াছপুর গ্রামের নিহত পুতুল মিয়ার চারা বাগানে যাতায়াত করতে হয় প্রতিপক্ষ বিল্লাল মিয়ার পুকুড় পাড় দিয়ে । এনিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাচাত ভাইদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয় পর্যায়ে বার কয়েক সালিশ বৈঠক ও হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ঘটনার আগেরদিন শনিবার পুকুড় পাড়ের রাস্তা ও যাতায়াত নিয়ে পুতুল মিয়া মকছুম আলীর বাকবিতন্ডা হয়। বিচারে বসার আগেই দুপক্ষ আবারো তর্কে জড়িয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এতে দুপক্ষের লোকজন গুরুতর আহত হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন পুতুল মিয়া মারা যান। মারা যায়ার কথা শুনে বিল্লাল ,লিল মিয়া, লাল মিয়া সহ পরবার পরিজন নিয়ে আত্নগোপ করেন। এরই সুযোগে সুবিধাবাধী লোকজন ভাংচুর ও লোটপাট চালায়। এদিকে নিহতর মাতা জবেদা খাতুন কানানা জড়িত কন্ঠে বলেন, পুতুল ও বিল্লাল আপন চাচাত ভাই পুকুড় পাড় দিয়ে যাওয়া আসা বিরোধ দীর্ঘদিনের। এনিয়ে দুপক্ষের হামলায় আমার ছেলে মারা যায়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, লোটপাঠের ঘটনা ঘটেনি টুকটাক ইটপাক্কেল হয়েছে।