South east bank ad

টাকা ফিরছে ব্যাংকে

 প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ব্যাংক

টাকা ফিরছে ব্যাংকে

গ্রাহকের হাতে থাকা নগদ টাকা ধীরে ধীরে ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। ব্যাংক খাতের সংস্কারে নেয়া নানা উদ্যোগের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখনো থামছে না দুর্বল ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে ৭টি ব্যাংক। গ্রাহকের আমানতের শতভাগ সুরক্ষা দিতে সংস্কার কাজ চলছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।

এস আলমের সেই ক্ষত এখনো ভোগাচ্ছে পুরো ব্যাংক খাতকে। তারল্য সংকটের কারণে গ্রাহকদের আমানতের অর্থ চাহিদা মতো ফেরত দিতে পারছে না অন্তত এক ডজন ব্যাংক। পরিস্থিতি উত্তোরণে ১১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুর্নগঠনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এতে হিতে বিপরীত ঘটে। এই ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়। নিজেদের আমানত উত্তোলন করেন অধিকাংশ গ্রাহক। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্যারান্টি চুক্তির আওতায় তারল্য সাহায়তা দেয়া হয় ৭টি ব্যাংককে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রাহকদের আমানত সুরক্ষা দিতেই সমস্যা থাকা বোর্ডগুলোকে পুর্নগঠন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে এই ব্যাংকগুলোকে এখন পয়র্ন্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গ্রাহকের টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে, যা ইতিবাচক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, সবগুলো ব্যাংকের ওপর গ্রাহক আস্থা হারায়নি। গুটি কয়েক ব্যাংকের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের ওপর আস্থা বলেই গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সবল ব্যাংকে রাখছেন।

ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স স্কিমের আওতায় এখন ৯৫ ভাগ গ্রাহকের আমানত সুরক্ষাত থাকলেও, শতভাগ সুরক্ষা দিতে এই স্কিমে পরির্বতনের কাজ চলছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান বিশ্লেষকদেরও।

বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছন, গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

BBS cable ad

ব্যাংক এর আরও খবর: