বিজিএমইএ নির্বাচন আজ
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচন আজ। ঢাকায় র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। চট্টগ্রামে সংগঠনটির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
২০২১-২৩ মেয়াদে বিজিএমইএ পর্ষদ নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদে এবার দুটি প্যানেলে মোট ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়া দুটি প্যানেল হলো সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। নির্বাচিতদের মধ্যে একজন হবেন সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি। ঢাকায় বিজিএমইএর ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৩ জন, চট্টগ্রামে ৪৬১ জন।
নির্বাচনী বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার। গতকাল তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জোটগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের। নির্বাচনের সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা করা হয়েছে মূলত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের লক্ষ্যেই। ভিড় এড়াতেই এ পদক্ষেপ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সরকারের ১৮ দফা দিকনির্দেশনা মেনেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজিএমইএর একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি ঘণ্টায় হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে। সবাইকে মাস্ক পরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিতে যেতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের সমর্থকদের অযথা ভিড় না করতেও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কভিড-১৯ রোগের সতর্কতা হিসেবে ভোট দেয়ার সময় ৩ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। পোলিং বুথ করা হয়েছে ১৪টি।
প্রাথমিকভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৯৯ জন প্রার্থী ১০৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ৪ মার্চ ৩৩টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। ফারুক হাসানের নেতৃত্বে নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচন করছে। অন্যদিকে ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবিএম সামছুদ্দিন।
ঢাকার ২৬ পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন ফারুক হাসান, শহিদুল হক, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শহীদুল্লাহ আজিম, নীলা হোসনে আরা, মহিউদ্দিন রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, শিরিন সালাম, তানভীর আহমেদ, ইন্তেখাবুল হামিদ, কফিল উদ্দিন আহমেদ, ইমরানূর রহমান, আশিকুর রহমান, মিরান আলী, খসরু চৌধুরী, মশিউল আজম, নাছির উদ্দিন, এসএম মান্নান, শোভন ইসলাম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, আরশাদ জামাল, আসিফ আশরাফ, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ও রাজীভ চৌধুরী।
অন্যদিকে ফোরামের প্রার্থীরা হলেন ড. রুবানা হক, এবিএম সামসুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শিহাবুদৌজা চৌধুরী, এনামুল হক খান, ভিদিয়া অমৃত খান, কামাল উদ্দিন, মাশিদ রুম্মান আবদুল্লাহ, এমএ রহিম, শাহ রিয়াদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, খান মনিরুল আলম, এএম মাহমুদুর রহমান, নাফিস উদ দৌলা, আসিফ ইব্রাহিম, মজুমদার আরিফুর রহমান, তাহসিন উদ্দিন খান, নাভিদুল হক, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, মাহমুদ হাসান খান, রেজওয়ান সেলিম, ফয়সাল সামাদ, রানা লায়লা হাফিজ, মেজবাহ উদ্দিন আলী ও নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রামে নয়টি পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন এএম শফিউল করিম, এম আহসানুল হক, মো. হাসান, রকিবুল আলম চৌধুরী, তানভীর হাবিব, মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা, অঞ্জন শেখর দাশ, আবসার হোসেন ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম। চট্টগ্রামে ফোরামের প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ আতিক, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, শরীফ উল্লাহ, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, রিয়াজ ওয়েজ ও খন্দকার বেলায়েত হোসেন।
২০ এপ্রিল বিজিএমইএর নতুন পর্ষদের দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে।