‘রাইস ব্রান থেকে পণ্য উৎপাদনের প্রযুক্তি আনা হবে’
রাইস ব্রান থেকে শুধু তেল নয়, কসমেটিকস ও বায়ো কেমিক্যালসহ নানা পণ্য উৎপাদনের প্রযুক্তি আনা হবে। এ জন্য শুধু ভারত নয়, প্রয়োজনে চীন থেকে প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ আনা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে।
শনিবার বিকেল ৪টায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে বাংলাদেশে রাইস ব্রান ওয়েল স্থাপন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এ সব কথা বলেন।
আলোনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ভারতের রাইস ব্রান বিশেষজ্ঞ দেবাশীষ ব্যানার্জি। এ ছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভারতে ভিমাল অরগানিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস কে আগারওয়াল। ভিমাল অরগানিক লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে ভারতে রাইস ব্রান ওয়েলের মেশিনারিজ তৈরি, সেটআপ ও প্রসেসিংসহ যাবতীয় কাজ করে আসছে।
আলোচনায় দেবাশীষ ব্যানার্জি বলেন, বাংলাদেশ রাইস ব্রান ওয়েল উৎপাদনে বেশ উপযোগী দেশ। এখানে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তা থেকে বাংলাদেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটানো সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৪র্থ বৃহৎ ধান উৎপাদনকারী দেশ। এখানে ৫০ থেকে ৫৪ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হয়। এর থেকে ৪০ লাখ টন রাইস ব্রান উৎপাদন করা সম্ভব। কারণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের রাইস ব্রান ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ তেলের উপাদান থাকে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, রাইস ব্রান থেকে যে তেল উৎপাদন হয় তা সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত। জাপানীরা এ তেলকে শ্রদ্ধার সাথে দেখে। এ ছাড়া রাইস ব্রান থেকে সোডিয়াম সিলিকন, বায়ো ডিজেল ও বায়ো কেমিক্যাল তৈরি করা হয়।