বন্দরে টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
দেশের সব স্থল, সমুদ্র এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাদ্যপণ্যের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের অনেক চাহিদা। স্থলবন্দরে স্বীকৃত মানের ল্যাব সুবিধা থাকলে ওই সব রাজ্যে দেশের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি সহজ হবে। এছাড়া বিমান ও সমুদ্রবন্দরে ল্যাব সুবিধা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং কৃষিপণ্যের বিশাল বিশ্ব বাজার ধরতে পারবে বাংলাদেশ।
তাই এ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের বন্দরগুলোতে বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সংরক্ষণ ও সাপ্লাই চেইন দুর্বলতার কারণে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা না থাকায় কৃষকরাও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাই উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতের নেওয়ার জন্য জাইকা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আমিন হেলালী।
বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে দেশে একটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ঋণ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম।
জাইকার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি তেরুয়াকি ফুজি বলেন, বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ খাবারের যোগান নিশ্চিত করা জরুরি।
জাইকার আগামী প্রকল্পটি এদেশের খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তেরুয়ারি ফুজি।
এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক দেশে বেসরকারি টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জাইকাকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার ও মো. রেজাউল করিম রেজনু।