আদালতে বোমা হামলা: মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা মামলায় আসামি জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন ও পলাতক বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামি জাবেদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে চাঞ্চল্যকর বোমা হামলা মামলায় আসামি জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন ও পলাতক বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জাবেদ ইকবাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ আরও বলেন, আমরা রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। কারণ আসামি জাবেদেরও মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। তিনি নিজেই হামলার বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে আদালত তার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছেন। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু ২০১৬ সালের ১৮ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তিন আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়। তারা হলেন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি।
এছাড়া অপর দুই আসামির মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান পলাতক ও জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রোববার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।