শিরোনাম

South east bank ad

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গার্মেন্টস পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি-গ্লোবাল কটন সামিটে বাণিজ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গার্মেন্টস পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি-গ্লোবাল কটন সামিটে বাণিজ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্য ওই দেশে রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার দাবি জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের কাছে তিনি এ দাবি তুলে ধরেন। গতকাল বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চতুর্থ গ্লোবাল কটন সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আইয়ুব। এবারের সামিটে ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ডসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত এ সুবিধা পাওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি। কারণ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। আমি যখন বিজিএমইএর সভাপতি ছিলাম, তখনো চেষ্টা করেছি। এ সুবিধা আমাদের ব্যবসায় অত্যন্ত সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি তুলা আমদানিতে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের ৯ মিলিয়ন কটন বেলস তুলা দরকার। কিন্তু আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার বেলস। আমাদের লক্ষ্য ১ মিলিয়ন বেলস তুলা দেশে উৎপাদন করা। যেটা খুব বেশি সহজ কাজ না।’

টিপু মুনশি আরো বলেন, ‘এ ৯ মিলিয়ন বেলস তুলার মধ্যে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন বেলসের ফ্যাব্রিক দেশেই কনজিউম করা হয়, বাকিটা বাইরে রফতানি হয়। রেডিমেড গার্মেন্টস আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, তাই তুলা উৎপাদনে নজর দিতে হবে।’

দেশে তামাকের পরিবর্তে তুলা চাষের গুরুত্ব তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশে তামাক চাষ একেবারেই বন্ধ করে দেব। তবে উৎপাদনকারীরা দেখবে কোনটা উৎপাদন করে তাদের বেশি লাভ হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের শেষ নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করা। ৪০-৪২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করতে ৯ মিলিয়ন বেলস কটন দরকার পড়ছে। তাই ১০০ বিলিয়ন রফতানি করতে হলে ২০ মিলিয়ন বেলসের বেশি তুলা দরকার হবে প্রতি বছর। সেজন্য অবশ্য বাইরের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিভিন্ন দেশের পতিত জমির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি জানান, যেসব দেশে জমি পড়ে আছে। জনবল না থাকায় তারা সেখানে কিছু চাষ করে না। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন ব্যবসায়ীদের কম্বোডিয়ার কৃষি জমিতে বিনিয়োগ করতে। এছাড়া আরো অনেক দেশের লাখ লাখ হেক্টর কৃষি জমি পড়ে আছে, যেখানে তারা চাষ করে না। বাইরের দেশের এসব কৃষি জমিতে তুলা চাষের জন্য ব্যবসায়ীদের বিবেচনায় আনার পরামর্শ দেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘হাইব্রিড বীজ বা ভালো বীজ দিয়ে আমরা তুলা উৎপাদন কিছুটা বাড়াতে পারি, কিন্তু জমি স্বল্পতায় অধিকহারে বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তামাক উৎপাদনে অনেক বেশি জমি ব্যবহার করা হয়। তাই তুলা উৎপাদনে যদি কোনো প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় এবং তামাককে নিরুৎসাহিত করতে ভিন্নভাবে যদি ট্যাক্স আরোপ করা হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের তুলার নির্ভরতা বাড়ানো সম্ভব হবে। ২৫ শতাংশ কটন উৎপাদন হয়তোবা বাড়ানো সম্ভব হবে না, তবে এ উৎপাদন আরো বেশি বাড়ানো যাবে।’

অনুষ্ঠানে বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘আমরা যদি ১ মিলিয়ন বেল তুলা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে সেটা ৪৩৯ মিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি করবে। এখান থেকে সুতা তৈরি করলে হবে ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং কাপড় বানালে হবে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাজার। এ কাপড় গার্মেন্টস পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে ২ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।’

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: