এশিয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একযোগে কাজ করতে হবে-বাণিজ্যমন্ত্রী

ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এশীয় অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ এ অঞ্চলে বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য এগিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে। নতুন নতুন পণ্য ও সেবার উদ্ভাবন আমাদের রফতানির ঝুড়িকে আরো সমৃদ্ধ করবে। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে।’ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন টিপু মুনশি। 

তিনি বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিগত পাঁচ দশক দেশের রফতানি সম্প্রসারণে যেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের এ প্রচেষ্টা আরো বেগবান করতে হবে।’

দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘এতে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয় অন্যদিকে বেকারত্ব  হ্রাস পায়। এ দেশটা আমাদের সবার। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮টি পণ্য খাতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রফতানি ট্রফি দেয়া হয়। যার মধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জ ট্রফি। এছাড়া রফতানি খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ)’ দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।