কারাগারে পরিচয়, জামিনে বেরিয়েই ভয়ঙ্কর

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চুরি-ছিনতাই করে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকার জামাল হোসেন। জেল খেটে নিজেকে না শোধরিয়ে বরং জামিনে বেরিয়ে হয়েছেন আরো ভয়ংকর। জেলে থাকতেই খোঁজ পেয়েছিলেন একটি ডাকাতদলের। তাদের প্রলোভনেই তিনিও নাম লিখিয়েছেন সেই দলে। শুধু জামালই নয়, এভাবে আরো অনেকেই এভাবেই কারাগারে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে রেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বনে যান সংঘবদ্ধ দুর্ধর্ষ ডাকাত।
ময়মনসিংহের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ডিপোতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ মাছুম আহম্মাদ ভূঁঞা। এ ঘটনায় ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আবুল কালাম, জালাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ ওরফে সৈকত, বাদল ওরফে আসলাম, ইন্তাজ আলী, রাকিব ও ইউনুছ। প্রত্যেকের নামে চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বেলতলী এলাকায় মেঘনা গ্রুপের ডিপোতে কর্মচারী পরিচয়ে ২৫-৩০ জন ডাকাত ডিপোতে প্রবেশ করে। এসময় পাহাদারদের হাত-পা বেঁধে একটি ট্রাক, ৮ হাজার ৩৮৮ লিটার সয়াবিন ও নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকাসহ ২৯ লাখ ২৬ হাজার ২৪৬ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
পরে তদন্ত শেষে সোমবার ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকার আবুল কালামকে গ্রেফতার করলে তার দেখানো মতে চার হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে, অন্যদের গ্রেফতার করে লুণ্ঠিত ট্রাকসহ ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।