ডিবি কর্মকর্তাদের যে বার্তা দিলেন নতুন ডিএমপি কমিশনার
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
প্রশংসিত ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেছেন, অপরাধের ধরণ পরির্বতন হচ্ছে, সাইবার ক্রাইম বাড়ছে, এসব অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে ডিবিকে কাজ করতে হবে। ডিবির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় ডিবি কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমি ডিএমপিতে অল্পসময়ের জন্য কাজ করেছি। ডিএমপির বাইরে কাজ করার সময় ডিবি ডিএমপির অনেক প্রশংসা শুনেছি। যেকোনো চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের সক্ষমতা রয়েছে ডিবির। ডিএমপি ডিবির সক্ষমতা অনেক উঁচুস্তরে।
ডিবিতে আসার জন্য নবনিযুক্ত কমিশনারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আপনি বাংলাদেশ পুলিশের অহংকার। অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শীতার কারণে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডিএমপির কমিশনার নিযুক্ত করেছেন। ঢাকা মহানগরের সম্মানিত নগরবাসী যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সেজন্য আপনার নেতৃত্বে কাজ করছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপির ডিবি নগরবাসীর কাছে এখন আস্থার নাম। কোনো অপরাধ ঘটলে ডিবি শুধু মহানগরীতেই নয়, বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে কাজ করে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আপনি ক্রাইম ম্যানেজম্যান্টে দক্ষ কর্মকর্তা। ২০১৫ সালে যখন রংপুরে জাপানি নাগরিক নিহত হন। তখন আপনার নেতৃত্বে মামলাটির রহস্য উদঘাটিত হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ডিএমপিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিএমপির ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সংঘটিত ঘটনাটি উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে ডিবি পুলিশ। ডিবির সক্ষমতা আছে, আপনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেলে আরও এগিয়ে যাবে।
সভায় ডিবি ডিএমপির সাম্প্রতিক উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সঞ্জিত কুমার রায়।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।