South east bank ad

ঘানি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সরিষার তেল ভাঙিয়ে বিক্রি

 প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

ঘানি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সরিষার তেল ভাঙিয়ে বিক্রি

কায়সার সামির (মুন্সীগঞ্জ) :

বদলে গেছে দেশের দৃশ্যপট। খাঁটি সরিষার তেল উৎপাদনে ঘানি ঘুরছে ক্রেতার দুয়ারে দুয়ারে। ঠিক এমন বদলে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে মুন্সীগঞ্জের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ ঘাট এলাকায়। ঘানি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সরিষার তেল ভাঙিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতাদের হাতে। এখন কলুর বাড়ির বলদের সাহায্যে ঘানি ঘুরিয়ে নয়, ইঞ্জিনচালিত যন্ত্রে সরাসরি সরিষা পিষে চোখের সামনেই সরবরাহ করা হচ্ছে খাঁটি তেল। মাস খানেক ধরে মুন্সীগঞ্জের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশেষায়িত এই ঘানি।

শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ ঘাট এলাকায় গত শনিবার আছর নামাজের পর দেখা যায় একটি জটলা। জামে মসজিদ সংলগ্ন পাশে ভ্রাম্যমাণ ঘানিতে প্রস্তুত হচ্ছে সরিষার তেল। সেটি ঘিরে ক্রেতার পাশাপাশি উতসুক জনতার ভিড়। কথা বলে জানা যায়, খাঁটি সরিষার তেল বিক্রির জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ভ্রাম্যমাণ এই ঘানি সদরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। শহরের পথের ধারে, বাড়ির গেটে থেমে ক্রেতার চোখের সামনে সরিষা থেকে তেল তৈরি করে বিক্রি করা হয়। সরিষার তেল বিক্রির করেন ভ্রাম্যমান সরিষার ঘানির ড্রাইবার মো. শফিকুল ইসলাম ও দুলাল বেপারী। প্রকৃত মালিক দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার হোসেন এই মাসে নিজ এলাকার একজন কর্মী ও ছোট ভাইকে দিয়ে রাস্তায় নামান তেলের ঘানি। নাম দিয়েছেন নাইম সরিষ তেল। রিকশা ভ্যানের সঙ্গে মোটরসহ যন্ত্রপাতি স্থাপন করে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ ঘানি। বেচাবিক্রি ও বেশ ভালো বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাসার বলেন, ‘গলির মুখে দেখি সরিষা ভাঙিয়ে তেল বিক্রি হচ্ছে। প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। এখন অনেকটাই নিয়মিত ক্রেতা। দাম ও মান নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

উদ্যোক্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে সরদারপাড়া গ্রামে। সাদ্দাম বলেন, প্রতি মাসে প্রায় চার লাখ টাকার তেল বিক্রি হয়। দুই কর্মীর বেতনসহ খরচ বাদে লাভ থাকে ভালোই। উদ্যোগ প্রসঙ্গে মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাত্র এক মাস ধরে সরিষা তেল উৎপাদন করছি। সরদারপাড়া আমার একটি দোকানও আছে। ‘শুরুতে যন্ত্রটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: