South east bank ad

"ভোলা জেলার ইতিহাস"গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব

 প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

"ভোলা জেলার ইতিহাস"গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব

সিমা বেগম (ভোলা):

২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রধান অতিথি (ভার্চ্যুয়াল) বক্তব্যে সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ বলেন, লেখক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন তার মেধা, শ্রম দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে ভোলা জেলার ইতিহাস উপহার দিয়েছেন ভোলা জেলার ইতিহাস গ্রন্থ নামে যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে আমি অত্যন্ত খুশি। এই গ্রন্থের লেখক আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন এই গ্রন্থ প্রকাশে অনেক পরিশ্রম করেছে। তিনি বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষভাবে ভোলার ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই বইটি পড়লে ভোলার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমি শওকতকে স্বাগত জানাই। তিনি তার মেধা, শ্রম দিয়ে ভোলা জেলার ইতিহাস উপহার দিয়েছেন।ভোলা জেলার ইতিহাস গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি (ভার্চ্যুয়াল) বক্তব্যে সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

আজকের ভোলা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ভোলা জেলার ইতিহাস গ্রন্থের লেখক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন আল ফারুক, ভোলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম জাকারিয়ার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন, ভোলা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মালেক, ঢাকাস্থ ভোলা সদর উপজেলা সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জাহাঙ্গীর, ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আজকের ভোলা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এড. সাহাদাত হোসেন শাহিন।

তালহা তালুকদার বাঁধনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম খান, প্রবীন সাংবাদিক এম এ তাহের, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাবু, এডভোকেট একে এম শাজাহান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, ভোলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী, এ রব স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, ইলিশা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাজাহারুল ইসলাম, ভোলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতা মাওলানা তাজ উদ্দিন ফারুকী, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম আহমেদ, ব-দ্বীপ ফোরামের সভাপতি মীর মোশারেফ হোসেন অমি প্রমুখ। এসময় রাজনৈতিক, শিক্ষক, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন, হাফেজ বনি আমিন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, মাওঃ তাজ উদ্দিন ফারুকী।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ইতিহাস রচনা একটি কঠিন ও দুসাধ্য কাজ। ইতিহাস বের করতে হলে সে বিষয়ের উপর অনেক জানা শুনা ও পারদর্শি হতে হয়। দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন সেই কঠিন কাজটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি মেধা, শ্রম ও অর্থ দিয়ে ভোলা জেলার ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি চেষ্টা করেছেন নিরপেক্ষভাবে ভোলার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার।

বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও থিওলজিকাল কমিউনিকেটর ভোলার প্রথম দৈনিক ‘আজকের ভোলা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্জ মুহাম্মদ শওকাত হোসেন প্রণীত “ভোলা জেলার ইতিহাস” গ্রন্থটি।ভোলার হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং আলতাজের রহমান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব শওকাত হোসেনের দীর্ঘ ছয় বছরের কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের ফসল এই গ্রন্থটি।

প্রায় ৫৪০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি মোট ৩৭টি অধ্যায়ের আলোচ্য গ্রন্থটির মাধ্যমে ভোলা জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, স্মরণীয় বরণীয়দের কথা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, প্রশাসন, সমাজসেবা সহ সমাজের সর্বস্তরের সবকিছু নির্মোহভাবে তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন আলহাজ্ব শাওকত হোসেন।

আলহাজ্ব শাওকত হোসেন বলেন ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে যতটুকু জানি- ইতিহাস রচনা করতে হয় নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে। অনেক স্বনামধন্য অনেক ইতিহাসবিদদের রচিত বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে দেখেছি- ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, অনুরোধে, উপরোধে শেষ পর্যন্ত নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ ইতিহাস উপহার দিতে পারেন নাই।বিশেষ করে রাজনৈতিক ভাবে দ্বিধাবিভক্ত বর্তমান বাস্তবাতায় এই কাজ সুসম্পন্ন করা আরো দুরুহ এবং কঠিন থেকে কঠিনতর। উপরন্তু আছে ধর্মিয় এবং সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্ব। সবকিছু উপেক্ষা করে ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রণেতা জনাব হোসেন সাহসী ভুমিকা দেখিয়ে চমৎকার এবং বহুবিদ তথ্য সমৃদ্ধ একটি ইতিহাস গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন।

অনেক আগে ভোলা সরকারি কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মরহুম মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী প্রথম ‘ভোলার ইতিহাস’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। যা তেমন তথ্য সমৃদ্ধ না হলেও সেটাই ছিল প্রথম উদ্যোগ। সেটা অবশ্য সাইজ ও আকারেও অনেক ছোট ছিলো।
এরপর বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক মরহুম মোস্তফা হারুন ‘পলিমাটির দেশ ভোলা’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। সেই গ্রন্থেও ভোলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি সবকিছু পরিপূর্ণতা পায়নি।

জাতীয় আল-কুদস কমিটির বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সহ-সভাপতি, জাতীয় যক্ষা নিরোধক সমিতি (নাটাব) এর ভোলা জেলা সভাপতি, আঞ্জুমান মহিদুল ইসলামের ভোলা জেল

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: