মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প’
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
মুজিব শতবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ১৩,১৪ ও ১৫ (মার্চ) ২০২২ইং তারিখে মুজিব শতবর্ষ আর্ট ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ টি নিয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিবাহী অফিসার জনাবা সাবরিনা রহমান।
এদিকে জানা যায় উক্ত সৃজনশীল আর্ট ক্যাম্পটি মৌলভীবাজারে সদরে মৌলভী চা বাগানের মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবাহী অফিসার সাবরিনা রহমান বলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচিত ৫০ জন ক্ষুদে আঁকিয়ে চা বাগানের সবুজ প্রকৃতির কোলে বসে আঁকবে নিজেদের রঙিন স্বপ্ন। রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলবে সুজলা সুফলা এই দেশের সৌন্দর্য। তাদের সঙ্গে থাকবেন ঢাকা থেকে আগত চারজন মেধাবী মেন্টর। তাদের সাহচর্যে রং তুলির আঁচড়ে রঙিন হবে এই ক্ষুদে আঁকিয়েদের ক্যানভাস। শৈল্পিকতার শুরুটা শাণিত হবে জলরং এ ছবি আঁকার নানা কৌশলে।
ক্যাম্পটিতে ছবি আঁকার নানা প্রয়োজনীয় ও ব্যয়বহুল সরঞ্জাম তাদেরকে উপহার দেয়া হবে উপজেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার সদরের পক্ষ থেকে।
নানা রং এর বন্ধুত্ব ঘটিয়েই আগামী দিনের স্বপ্নগুলোকে তারা ফুটিয়ে তুলবে কাগজের ক্যানভাসে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প সাহিত্যের সমঝদার ছিলেন। তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন অনেক সম্মান ও সমীহ করতেন।এমনকি তিনি যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারী সফরে যান, তখন তিনি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন এদেশের শিশুদের আঁকা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলার ছবি। অন্য দেশের রাষ্ট্রনায়করা সেসব ছবি পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তিনি শিশুদের অত্যধিক ভালোবাসতেন। শিশুদের সান্নিধ্য পেতে চাইতেন সবসময়। তাই তাঁর জন্মদিনে বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়।
একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সৃজনশীল মানুষের অসাধারণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিল্প-শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার কারণেই উন্নত বিশ্বের সর্বত্র নান্দনিক মূল্যবোধের পরিচয় মেলে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এসব সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক দুটোরই বিকাশ ঘটবে।বিখ্যাত মনীষী জ্যাক রুশো এ কারণেই বলেন: ‘প্রত্যেক শিশুই জন্মগতভাবে শিল্পী।’ বিখ্যাত শিল্পী এসএম সুলতান বলেছেন, ‘যে শিশু একবার তুলি ধরে সে শিশু কখনো অস্ত্র ধরতে পারে না’
আপনাদের সবাইকে এই আর্ট ক্যাম্পে জানাই সাদর আমন্ত্রণ। ক্যাম্পের শৃঙ্খলাজনিত কারণে কাছে আসার সুযোগ না থাকলেও, দূর থেকে তাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।