যশোরে মাটি খুঁড়ে কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার
যশোর প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুর থেকে ইকরামুল (১৮) নামে নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ মাটিখুুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। যশোরের পিবিআই এবং মণিরামপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) উপজেলার মদনপুর মাঠের একটি ভেড়ির পাড়ে মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করে। ইকরামুল উপজেলার ভরতপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। সে রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনের আটক হওয়ার তথ্য জানা গেলেও পিবিআই এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমিনুর রহমান (২৭) নামে এক যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর মশ্মিনগর সরদারপাড়ায় ইসলামী ধর্মীয় আলোচনা শোনার জন্য ইকরামুল বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকে।
অনেক খোঁজাখুঁজির করে তার সন্ধান করতে না পেরে ইকরামুলের মা রেশমা বেগম মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর থানা পুলিশ এবং পিবিআই যশোরের সদস্যরা ইকরামুলকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে পিবিআই সদস্যরা ভরতপুর গ্রাম থেকে হোসেন আলীর ছেলে আমিনুর রহমান (২৭), একই গ্রামের কামরুল ইসলাম এবং প্রতিবেশী আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদীকে আটক এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে আটক আমিনুরের দেখানো জায়গা থেকে মদনপুর মাঠের সেই ভেঁড়িবাঁধের মাটি খুঁড়ে ইকরামুলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যার পর একটি বস্তার মধ্যে ভরে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, ইকরামুল নামের ওই ছেলেটি গত কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ মদনপুর মাঠের একটি গর্ত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কী কারণে এই হত্যা তা আসামিদের রিমা-ের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেশী এক নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক ছিলো নিহত ইকরামুলের।
সম্প্রতি আটক আমিনুরের সাথে ওই নারীর নতুন করে সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ফলে আমিনুর ও তার সহযোগিরা ইকরামুলকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ বস্তাবন্দি করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।