সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন এম.এ কাশেম
আর্থিক খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এম.এ কাশেম । রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৭৪৩তম বোর্ড সভায় পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
এম.এ কাশেম সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক। তিনি রোজ কর্নার প্রাইভেট লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান। এম.এ কাশেম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে চারবার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বেশ কয়েকবার এনএসইউ ফাউন্ডেশনের এন্ডোয়মেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
এম.এ কাশেম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। তিনি এফবিসিসিআই-এর সালিসি ট্রাইব্যুনালেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির (এপিইউবি) সাবেক চেয়ারম্যান।
এই ব্যাংকার দীর্ঘ ১৭ বছর উপমহাদেশের ভেষজ ওষুধের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি হতদরিদ্র রোগীদের নাক, কান ও গলার স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর অ্যাসিসটেন্ট টু হিয়ারিং ইমপেয়ার্ড চিলড্রেন-এর ট্রাস্টের সভাপতি ছিলেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য।
বিশিষ্ট শিল্পপতি এম.এ কাশেম শিক্ষা ক্ষেত্রে একজন নিবেদিত প্রাণ পৃষ্ঠপোষক, বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং একজন সক্রিয় সমাজকর্মী। রপ্তানিতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ সালে ‘প্রেসিডেন্ট এক্সপোর্ট ট্রফি’ অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে শিল্প খাতে অবদানের জন্য ‘সিআর দাস স্বর্ণ’ পদকও পেয়েছিলেন।
রাজস্ব খাতে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে ২০১১ সাল ও ২০১৬-২০১৭ সালে সর্বোচ্চ করদাতা পুরস্কারে ভূষিত করে। তিনি উচ্চশিক্ষার প্রসারের জন্য ‘আবু রুশদ স্মৃতি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এম.এ কাশেম ১৯৮৬ সালে ফার ইস্টার্ন দেশগুলোতে ২০ সদস্যের এফবিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় ইউএনডিপির স্পন্সরে ৫ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে ইইসি দেশগুলোতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
একজন প্রথিতযশা ব্যবসায়ি হিসেবে এম.এ কাশেম এফবিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির হয়ে বিশ্বের সব বড় শহরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।