নাসিমা খান মন্টির জন্মদিন আজ

চারটি জাতীয় গণমাধ্যমের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা নাসিমা খান মন্টির জন্মদিন আজ । নাসিমা খান মন্টি আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক। আমাদের নতুন সময়ের উপদেষ্টা সম্পাদক। আওয়ার টাইমের এডিটর-ইন-চার্জ এবং আমাদের সময়. কমের সম্পাদক। তিনি প্রখ্যাত সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান এর সহধর্মীনী। তিনি নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী হিসেবে নয়, কাজ করেছেন নাসিমা খান মন্টি হিসেবেই। নাসিমা খান মন্টি যে হঠাৎ করে নিজেদের পারিবারিক পত্রিকায় সম্পাদক সম্পাদক বনে গেছেন, ব্যাপারটি তেমনও নয়। সম্পাদক হওয়ার জন্য তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ধাপে ধাপে। আজ তিনি যে পত্রিকাগুলোর সম্পাদক ২০০৪ সাল থেকে এই পত্রিকায় তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ধাপে ধাপে পালন করেছেন বিভিন্ন দায়িত্ব। ২০১০ সাল থেকে তিনি ২৪ ঘণ্টার নিউজ চ্যানেল এটিএন নিউজে সহ-সম্পাদক হিসেবে পুর্ণকালীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের কোনো স্বপ্ন তার ছিলো কিনা জানি না। তবে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি দৈনিক আজকের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯৭-৯৮ সালে। তারপর বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিজ্ঞ হয়েছেন, সমৃদ্ধ হয়েছেন। তিনি হাতে কলমে যেমন কাজ শিখেছেন তেমনি ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছেন। মিডিয়া বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমপেন্ট, জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিসিডিজিসি)-এর সঙ্গেও তিনি সক্রিয় জড়িত আছেন।
নাসিমা খান মন্টি সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র সংক্রান্ত বেশকিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অনেকগুলো গবেষণাকাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডিতেও কাজ করেছেন। একাধিক বিষয়ে তার গবেষণা কর্ম রয়েছে। তিনি কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যম বিষয়ে কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। আবার কয়েকটি পুরস্কার প্রদান কমিটিতে জুরি হিসেবেও আছেন। কমপক্ষে ১১টি সংগঠনের সদস্য হিসেবে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
নাসিমা খান মন্টি একজন দক্ষ সংগঠক এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত উদ্যোগী মানুষ। আড়ালে থেকে পরামর্শ দেয়া নয়, দুই বেলা অফিসে তার সরব উপস্থিতি সহকর্মীদের দারুণভাবে প্রাণিত করে। তার তাৎক্ষণিক পরামর্শ পত্রিকার গুণমান বাড়াতে সহায়তা করে। কেবল খবর সংগ্রহ নয়, তা কীভাবে পরিবেশন করলে পাঠকের মনোযোগ পাবে সেটা তিনি ভালো বোঝেন।
আমাদের দেশে সাংবাদিকতার পেশায় নারীদের আগ্রহী হয়ে ওঠার ইতিহাস খুব পুরনো নয়। এই পেশাকে মেয়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার নারীদের জন্য উদার ও মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে পদে পদে বাধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে আসছেন। ঝুঁকি গ্রহণে পিছপা হচ্ছেন না তারা। সাংবাদিকতা পেশাতেও এখন নারীদের অবস্থান দৃশ্যমান। নাসিমা খান মন্টি নারী সাংবাদিকতার এক বাতিঘরের মতো। তিনি নিজে স্বামী, তিন কন্যা নিয়ে সংসার সামলানোর পাশাপাশি একটি মিডিয়া হাউজেও সময় দিচ্ছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফলতা ছিনিয়ে আনতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এরমধ্যে এটা প্রমাণ করেছেন যে নারীরাও গণমাধ্যমের নেতৃত্বে এসে আলো ছড়াতে পারেন। মিতভাষী, সদালাপী, নিরহংকারী নাসিমা খানের কাজে বিরক্তি নেই। এক চিলতে হাসি মুখে নিয়ে তিনি যেন সবাইকে জয় করার জন্যই এই ভুবনে এসেছেন।
নাসিমা খান মন্টিকে বিডিফিনান্সিয়ালনিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।