জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম এর জন্মদিন আজ
দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এর জন্মদিন আজ। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’য় খন্ডকালীন এবং ১৯৭৯ সালের শেষদিকে পূর্ণকালীন সহ-সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর নিরবচ্ছিন্নভাবে এই পেশায়ই সাফল্যের সঙ্গে পথ চলছেন। কিশোর বাংলার পর তিনি দৈনিক জনতায় সিনিয়র রিপোর্টার (১৯৮৩-৮৪), দৈনিক নব অভিযানে চিফ রিপোর্টার (১৯৮৫), দৈনিক ইনকিলাবে (১৯৮৬ থেকে ১৯৯৯ আগস্ট পর্যন্ত) সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দৈনিক যুগান্তরের পথচলার শুরু থেকেই পত্রিকাটির সঙ্গে আছেন তিনি। ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি দৈনিক যুগান্তরে চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর পত্রিকাটির উপসম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সপ্তাহিক চিত্রালী, মশাল, আগামী, স›দ্বীপসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি। এছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ২০১৭-২০১৮, দুই দফায় যুগ্ম সম্পাদক ১৯৯৫-১৯৯৬ ও ১৯৯৭-১৯৯৮ ও দু’বার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাইফুল আলম বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের দু’বার নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কয়েক দফায় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাট-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে এক যুগ (১৯৭৯-১৯৯০) দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদের ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্য হিসেবে কয়েক দফায় দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেসইন্সটিটিউটের (পিআইবি) পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদেরও সদস্য। সাইফুল আলমের প্রথম গ্রন্থ ছেঁড়াপাতা। শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ, যা ১৯৮২ সালে প্রকাশিত। এর দ্বিতীয় সংস্করণ নিম ফুলের ঘ্রাণ নামে প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে। দ্বিতীয় গ্রন্থ ছড়া-কবিতা হাত বাড়ালেই আকাশ। তৃতীয় গ্রন্থ কিছু ভাবনা কিছু কথা। জাগৃতি থেকে ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় চতুর্থ গ্রন্থ গণতন্ত্র মাইনাস নয় প্লাসের প্রজ্ঞাই। এটি দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত। পঞ্চম গ্রন্থ গণতন্ত্রের যাত্রা ও অন্যান্য। পালল প্রকাশনী থেকে ২০১৯-এ প্রকাশিত হয়। সাইফুল আলম জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন সংস্থা ২০১৭ ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সম্মাননা ২০১৮ পেয়েছেন।
সাইফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৭৭ সালে স্নাতক ও ১৯৭৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু তার। এরপর মতিঝিল কেন্দ্রীয় সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। সাইফুল আলমের জন্ম ঢাকার ফরাশগঞ্জে। বাবা মোহাম্মদ আলী আরশাদ মিয়া এবং মা বেগম শামসুন নাহার। স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, পেশায় ব্যাংকার।
সাইফুল আলমকে বিডিফিন্যান্সিয়ালনিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।