South east bank ad

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এর জন্মদিন আজ

 প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জন্মদিন

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এর জন্মদিন আজ। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সুপরিচিত ও গ্রহণযোগ্য একটি নাম নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। ভোলা জেলার লালমোহনের কৃতি সন্তান নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত তার কার্য্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মেধাবী, দূরদর্শী সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আজ তাকে সবাই চেনেন। নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার মানুষের প্রতিচ্ছবি যা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের প্রতিকৃতি।
জরুরী সরকারের পর ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে মেজর হাফিজকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ভোলা ৩ থেকে মেজর জসিম আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেড় বছর পার করলেও উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো লালমোহন ও তজুমুদ্দিন। একই সঙ্গে রেড়েছিল আওয়ামীলীগের কোন্দল। ওই সময় আওয়ামীলীগের নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে। মেজর জসিমের সংসদ সদস্য পদ অবৈধ হলে ২০১০ সালে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়। উপ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পান ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক তরুন রাজনৈতিক নেতা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেজর হাফিজকে পরাজিত করে ভোলা ৩ আসনটি আওয়ামীলীগকে পুনরায় উপহার দেন এমপি শাওন। উপ নির্বাচনে এমপি হওয়ার পর বিভক্ত আওয়ামীলীগকে প্রথমে সু সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন তিনি।
এমপি হওয়ার পর দীর্ঘদিন কমিটিহীন থাকা লালমোহন ও তজুমুদ্দিন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌর এলাকার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগ ছাত্রলীগ, ওলামালীগসহ অঙ্গসংগঠনের সব কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন তিনি। দলকে সংসগঠিত করার পাশাপাশি লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের যেসব এলাকা দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো ওই এলাকার উন্নয়নে হাত দেন এমপি শাওন। এলাকার রাস্তাঘাট নির্মান, ব্রিজ কালভার্ট নির্মানের পাশাপাশি বেশকিছু উন্নয়ন প্রজেক্ট হাতে নিন তিনি। লালমোহন পৌর শহরকে আধুনিক পরিকল্পিত শহরে রুপায়ন, সৌন্দর্য বৃদ্ধি, যোগাযোগ সহজ করতে রাস্তাঘাট নির্মান অব্যাহত রাখতে শুরু করেন।
লালমোহন ও তজুমুদ্দিনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ ও মাদকমুক্ত করতে লালমোহন থানার কার্যক্রম জোড়ালো করার পাশাপাশি আরো ২ টি পুলিশ ফাঁড়ি করেন তিনি। এসব ফাঁড়িকে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যক্তি উদ্যোগে দান করেন তিনি। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জলদস্যূ নির্মূলে কোষ্টগার্ডকে দুটি স্পীডবোট দেন তিনি। তার এ উদ্যোগের কারণে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সাধারন জেলেরা নিরাপদে মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এ উপজেলায় কয়েকটি দূর্ঘম চরঅঞ্চলকে জনবসতি গড়ে তোলার জন্য এবং তাদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
তার উন্নয়ন কর্মান্ড দেখে লালমোহন ও তজুমুদ্দিনে শীর্ষ পর্যায়ের শতাধিক বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এছাড়া বিএনপির সমর্থিক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলররাও আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
ভোলা ৩ নির্বাচনী এলাকার আসনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ বার বার নির্বাচিত এমপি হলেও দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং এখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মামলা হামলা করে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের টিকিট নিয়ে মেজর জসিম এমপি হলেও আওয়ামীলীগের নির্যাতিত নেতকার্মীরা কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি। সংগঠিত হয়নি দলের কার্যক্রম। মেজর জসিমের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হলে উপ নির্বাচনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি হয়ে প্রথমে দলকে শক্তশালী করেন এবং নির্যাতিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন বিভিন্নভাবে।

সংসদ সদস্য হিসেবে এমপি শাওন ২ যুগ অনির্মিত ভোলা – চরফ্যাশন মহাসড়কের লালমোহন লাঙ্গলখালি ব্রিজটি নির্মান করে নজর কাড়েন এখানকার মানুষের। একই সঙ্গে লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ও বদরপুর ইউনিয়নে মধ্যে বানিজ্যিক যোগাযোগের জন্য লালমোহন ঢাকা লঞ্চ চলাচলকারী লালমোহন খালে একটি অধ্যাধুনিক ব্রিজ নির্মাানের কাজ শুরু করেন। এছাড়া দৃষ্টিনন্দ উপজেলা কমপেক্স নির্মান, ১৩৪ কোটি টাকা ব্যায়ে বেড়িবাধ নির্মান, লালমোহন ও তজুমুদ্দিনকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া, লালমোহন থানা ভবন নির্মানসহ উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাগুলোতে অসংখ্য ব্রিজ কালভার্ট, রাস্তাঘাট নির্মান করেন। এছাড়া লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের একাধিক গ্রামে বিদ্যুতায়ন, ২ টি কলেজসহ স্কুল, মাদ্রাসা নির্মান করে উন্নয়নের রেকর্ড গড়েন। গত ৪৩ বছরে এখানকার সাবেক এমপিরা যে পরিমান কাজ করেছেন গত ৫ বছরে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তার দ্বিগুণ কাজ করে জনমনে অণ্যরকম আস্থা তৈরি করেছেন।
সম্প্রতি নদীভাঙন রোধে জাতীয় নির্বাহী পরিষদ একনেকে ৪৫০ কোটি টাকা পাশ করে লালমোহন-তজুমদ্দিন জনগণের মাঝে বিরল ইতিহাস স্থাপন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সদালপী ও অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ। সবার সঙ্গে তিনি কথা বলেন হাসিমুখে। যেকোন সমস্যায় এগিয়ে আসেন সব সময়। প্রাণপ্রিয় এই নেতা আজ সবার অন্তরে অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।

বিডি ফিনান্সিয়াল নিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

BBS cable ad

জন্মদিন এর আরও খবর: