ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং ঢাকা শহরকে বাঁচাবার জন্য গাছের কোনো বিকল্প নাই: মেয়র আতিক
সবুজে সাজাই ঢাকা এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এলাকায় ১ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ছাদ বাগান করতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গাছের পরিচর্যা ও দেখভাল করার জন্য প্রতিটি পাড়া, মহল্লায়, ক্লাব, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাকে দায়িত্ব নিতে হবে। নগরবাসীকে গাছ লাগনো কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ করতে মেয়র ঘোষণা দেন ‘যারা ছাদ বাগান করবে তারা ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা পাবে।’
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) মিরপুর-১০ এলাকার মুকুল ফৌজ মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, ছাদ বাগান আমাদের সবার দরকার। আমার আমার চিন্তাভাবনা থেকে আমরা এই চিন্তায় আসতে হবে। ছাদ বাগান করার জন্য একটি নীতিমালা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং পরিবেশবাদীদের নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। যারা ছাদ বাগান করবেন তাদের এই কমিটির মাধ্যমে একটি সনদ দেওয়া হবে। এবং ছাদ বাগান করলে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য যে সকল বাড়ির মালিক রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প গ্রহণ করবে তাদের বিশেষ রেয়াত সুবিধা দেওয়া হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন নিজেরা বাঁচি ভবিষ্যৎপ্রজন্মকে বাঁচাই। আসুন ছাদ বাগান করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচার জন্য ঢাকা শহরকে বাঁচাবার জন্য গাছের কোনো বিকল্প নাই। রাজধানী ঢাকাতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৯ হাজার লোক বাস করে। সেই ঢাকাতে বাঁচার জন্য সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। অক্সিজেন নেবার জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মেয়র বলেন, গাছ লাগানোর মধ্যে কোনো অহংকার থাকবে না। গাছ লাগানোর মধ্যে ভালোবাসা থাকতে হবে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জনকে দিচ্ছি গাছ রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালের জন্য কিন্তু এই ১০ জন দিয়ে গাছ বাঁচানো সম্ভব না। এজন্য প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ক্লাবে স্কুল, কলেজে মাদরাসায় যেখানে গাছ লাগানো হবে সেখানে প্রত্যেকে দায়িত্ব নেন ৫টি গাছ বাঁচাবো, তাহলে আর কিছুই লাগবে না। প্রতিটি বাড়ির মালিক তার সামনে রোপণ করা গাছের দেখভাল করবেন যেন গাছগুলো ভেঙে না ফেলে, গরু ছাগালে না খায়।
সবুজে সাজাই ঢাকা প্রকল্পের আওতায় আমরা ১ লাখ গাছ লাগাতে যাচ্ছি। গাছ আপনাদের দেখতে হবে। সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে ঢাকা শহরকে ভালোবাসতে হবে। সিটি করপোরেশনকে ১ লাখ গাছ দিয়ে সহযোগিতা করেছে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো বাংলাদেশ-(বিএটি) ।
বিএটি বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ বলেন, মুজিববর্ষে বিএটি বাংলাদেশ এর বনায়ন প্রকল্পেরও ৪০ বছর পূর্ণ হলো। ঢাকা শহরকে সুবজ করে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। বনায়নের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে যৌথভাবে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে বিএটি বাংলাদেশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ডিএনসিসির পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর হুমায়ন রশিদ জনি, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল, বিএটি বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ প্রমুখ।