সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড স্থাপনে ব্যবসায়ীদের কর দেওয়ার জন্য ফের আহ্বান জানালেন মেয়র আতিক
অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার অপসারণে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ অভিযানে সাইনবোর্ড না ভাঙতে বিভিন্ন মহল থেকে ফোন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরখানে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা জানান তিনি। এসময় সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড স্থাপনে ব্যবসায়ীদের কর দেওয়ার জন্য ফের আহ্বান জানান আতিক।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া অভিযান প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, গতকাল আমরা বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। আমার কাছে ফোন এসেছে, “আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না”, “মেয়র সাহেব আমার এ বিলবোর্ডটা ভাঙবেন না”। আমরা কিন্তু কারও কথা শুনছি না। রাস্তায় যদি বালু পড়ে থাকে, সিমেন্ট পড়ে থাকে, আমরা কিন্তু নিলামে দিচ্ছি। এ শহরের একজন অভিভাবক আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আপনারা নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি বলতে চাই, এ শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে, জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে।
একনেক থেকে অনুমোদন পাওয়া ৪০২৫ কোটি টাকা দিয়ে ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন করা হবে বলেও জানান আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাস খানেক আগে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে প্রকল্প উঠেছিল একনেকে। এ প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪০২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ অনুদান দিয়ে এসব এলাকার উন্নয়ন হবে। এলাকার রাস্তা চওড়া হবে। এসব এলাকায় ১৩টি খাল রয়েছে। সেগুলো দখল হয়ে গেছে। খালগুলো উদ্ধার করা হবে। খালের দু’পাশে আমরা ‘ওয়াক ওয়ে’ করে দেব। মানুষ হাঁটবে সেখানে।
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ডিএনসিসির লোকবল নিয়ে পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান মেয়র।
আতিক বলেন, ওয়ার্ডগুলোর আবাসিক ভবন এবং সেগুলোর বাসিন্দাদের এখনই হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে না। তবে যেসব বাণিজ্যিক ভবন বা হোল্ডিং আছে, সেগুলোকে করের আওতায় আনা হবে।