বুধবার ছয় শতাধিক বিলবোর্ড সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পরিচালনায় বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান বনানী ও প্রগতি সরণিতে আরো প্রায় ৬২০টি অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া স্পট নিলামের মাধ্যমে এসব সাইনবোর্ড ও অন্যান্য মালামাল ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রয় করা হয়। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা, ট্রেড লাইসেন্স না থাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৯৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গুলশান এভিনিউতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ২৫৭টি অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, প্যানাফ্লেক্স ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এসময় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে রাস্তায় পার্কিং করে রাখা ৭০টি মোটর সাইকেল সরিয়ে সড়ক জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এসব মালামাল তাৎক্ষণিক নিলামে ৬০ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির কারণে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া প্রগতি সরণির শহজাদপুরে অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ১৬৩টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি নিলামে ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি অপসারণে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।