গ্রামীণফোনের আয় ও মুনাফা কমেছে

টেলিযোগাযোগ খাতের তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আয় ও নিট মুনাফা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় কমেছে আড়াই শতাংশ এবং কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে ৫২ দশমিক ৬২ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে গ্রামীণফোনের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে অর্ধেকের বেশি।
প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯ টাকা ৯১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৬৪ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ৩৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোনের পর্ষদ। এর মধ্যে ১৭০ শতাংশ চূড়ান্ত ও ১৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৬ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৯৫ পয়সায়।
গ্রামীণফোনের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল)। ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৯৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।