তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক নাইম হাসানের কাছে কোম্পানিটির ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে তিনি ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে নাইম হাসানের কাছ থেকে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৯১টি শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের আরেক উদ্যোক্তা পরিচালক মহিম হাসান। ডিএসইর ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ শেয়ার ক্রয়-বিক্রি সম্পন্ন হবে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬০ পয়সায়।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৮৫ হাজার ১১৯।
এর ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৩১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৭৪ পয়সায়।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।


