পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের আনন্দ আয়োজন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘এসো মিলি সবাই বিজয়ের উল্লাসে’ এই স্লোগানে গত (২৬ ডিসেম্বর) রোববার পর্তুগালের রাজধানীর লিসবনে গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিটে পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও আনন্দ আয়োজন করা হয়।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের মাঝে বাংলাদেশ তুলে ধরার জন্য উপস্থিত অতিথি রানা তাসলিম উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম জসিম, আবুল কালাম আজাদ, কাজী আনিস মাহমুদ, মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, রনি হোসাইন, রাজিব আল মামুন, তানভীর আলমসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা শিশুদের সাথে কেক কেটে সকল শিশুদের অভিবাদন জানান। এ সময় শিশুরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে সবার সাথে হাত উঁচিয়ে স্লোগান দেন আমার দেশ বাংলাদেশ, আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার পাশাপাশি স্বাধীনতার তাৎপর্য ও অর্জন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি রনি মোহাম্মাদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারী, জহিরুল ইসলাম মুন, এফ.আই রনি, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল হাসান আশিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার এইচ.খান ফাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল হাসান আশিক, কোষাধ্যক্ষ জাহিদ কায়সার, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক, সমাজকল্যাণ ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ এবং হাসান কোরাইশী।
দেশীয় আমেজে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশি নৃত্যশল্পী সাদিয়া ইসলাম দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে নৃত্য পরিবেশন করেন। একই সাথে প্রবাসী সঙ্গীতশিল্পী এফ আই রনি, সঙ্গীতা খান এবং নাইমা বিথী দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে আগত অতিথিদের মধ্যে একটি আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। সেই সাথে দর্শকদের করে তারা বিজয়ের উল্লাসে আনন্দ উদযাপনের জন্য দেশীয় জনপ্রিয় গান গেয়ে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে রাখেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজকদের পক্ষ থেকে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা থাকলেও মহামারীর বিধিনিষেধের কারণে পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সকলকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি; তাই পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তবে আশা প্রকাশ করা হয় ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো আয়োজনে বাংলাদেশ কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দ উদযাপনে পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপনের জন্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।