শিরোনাম

South east bank ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে কর অব্যাহতি চায় ডিসিসিআই

 প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এফবিসিসিআই

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে কর অব্যাহতি চায় ডিসিসিআই

শিক্ষা খাতের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য শিল্পখাতের আর্থিক সহায়তাকে কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় : শিক্ষাখাতের ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারের তিনি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান শেষে শিল্পখাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে তরুণ সমাজ কর্মসংস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের শিল্পখাতের বিশেষকরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি নাগরিকদের উপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে শ্লথ করে দিচ্ছে।

ডিসিসিআই সভাপতি জানান, আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ মিলিয়ন। যা এদেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে অত্যন্ত সহায়ক শক্তি। তবে এ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্পখাতের চাহিদা মোতাবেক যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণের বিষয়ে আমারা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এবং এর ফলে কাঙ্খিত মাত্রায় বিনিয়োগ আকর্ষন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে।

বর্তমান যুগের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার সকল স্তরে শেণিকক্ষের পাশাপাশি গবেষণাগারের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত-এর আরো বেশি হারে গুরুত্বারোপ। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের অনুসরণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন এবং সর্বোপর শিল্প ও শিক্ষাখাতের মধ্যকার সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করার উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

এআইইউবি-এর উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা বলেন, প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে না। এজন্য তিনি শিক্ষা ক্যারিকুলাম যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করণের আহবান জানান। শিল্প ও শিক্ষাখাতের বিদ্যমান দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গবেষণা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারী ও বেসরকারীখাতকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। পাশাপশি তিনি শিক্ষাখাতে নীতিসহায়তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সহায়তা সরকারের অগ্রগণী ভূমিকা পালনের প্রদানের আহবান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পখাতের সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালনেরও প্রস্তাব করেন।

বিইউপির উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিল্প ও শিক্ষখাতের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই।

তিনি বিশেষকরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে শিল্পখাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাব করেন।

এছাড়াও বুয়েট উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ কার্যক্রম চালু করার প্রস্তাব করেন।

ওয়েবিনারের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস্ (বিইউপি)-এর উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার, পিএইচডি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর বিশেষ উপদেষ্টা ও ডীন প্রফেসর ইমরান রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

BBS cable ad

এফবিসিসিআই এর আরও খবর: