এফবিসিসিআই এ সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
এফবিসিসিআই এ সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এসময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই’র সহায়তা চায় ভারত।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক এ আলোচনায় আমি জানাই, লজিস্টিকস খাতের উন্নয়ন এফবিসিসিআই এর প্রধান লক্ষ্য। এখাতের উন্নয়নে সরকারকে ১২ বছরব্যাপী পরিকল্পনা জমা দিতে কাজ করছে এফবিসিসিআই।
এলডিসি পরবর্তী সময়ে পোশাক শিল্পে সুতা ও তুলার বড় যোগানদাতা হতে পারে ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানিগুলো ভালো করছে। তাই বাংলাদেশে অন্যান্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগও লাভজনক হবার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি আমি।
বাণিজ্য বাড়াতে স্থলবন্দরগুলোর ভারতীয় অংশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা জরুরী। ভারতীয় বন্দরের সুযোগ সুবিধার অভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। তাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এসময় শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথম বারের মতো ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। দু’দেশের এই বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে আগ্রহী ভারত। এজন্য দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি। লজিস্টিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটো মোবাইল ও পোশাকখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নত করতে চায় তার দেশ।
ভারতের রাষ্ট্রদূত জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল দ্রুত ও সহজ করতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে শিগগিরই আরেকটি নতুন গেট চালু করা হবে। অন্যান্য স্থলবন্দরে আরো বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ বাড়লে ভারতীয় অংশে উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়ার আশ্বাস দেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন তার সরকার দুইদেশের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে আগ্রহী। এজন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এছাড়াও দুইদেশের মধ্যে সিইও’স ফোরাম চালুর আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সমস্যা দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।