গ্যাসের নতুন মূল্যহার যৌক্তিক: এফবিসিসিআই সভাপতি
বিশ্বজুড়ে এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বৈশ্বিক সরবরাহে অস্থিরতার মধ্যেও দেশে গ্যাসের নতুন দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের (বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
রোববার (৫ জুন) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলেন গ্যাসের নতুন দাম নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।
এ সময় গ্যাসের নতুন দাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এফবিসিসিআই মনে করে দেশের সব ধরনের শিল্পখাতের সক্ষমতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এই নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পায়নকে আরও ত্বরান্বিত ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে।
এ সময় শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
নতুন মূল্যহার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিতরণ কোম্পানিগুলোর ১০০ শতাংশের বেশি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সাড়ে ১৫ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মাঝারি শিল্পে ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ।
অন্যদিকে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের জন্য গ্যাসের দাম প্রায় ৩৭ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলেন বলা হয়, কোভিড মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত এই খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া সিএনজির দাম অপরিবর্তিত রাখার ফলে গণপরিবহনের ভাড়া আগের মতোই থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।