শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ ১২ গার্মেন্টস

শ্রমিক অসোন্তষে সাভার, আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় বন্ধ ১২টি গার্মেন্টস। এছাড়া বাকি সব তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমই) আওতাভুক্ত কারখানা সব খোলা আছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনটি জানায়, বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ অর্থাৎ শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ রাখা হয়েছে ৪টি কারখানা। এছাড়া কাশিমপুর ও জিরানী এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বাধার কারণে ওই এলাকার ১১টি কারাখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাজীপুর মহানগরীর জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকার দুটি কারখানার শ্রমিকরা এক মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকরা জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে আরএমজি কারখানার শ্রমিকরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে গত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে।
অপরদিকে, জিরানী এলাকার ডরিন ফ্যাক্টরির ১৩ জন স্টাফ ছাঁটাই ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ সকাল থেকে একই মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ওই কারখানার শ্রমিকরা।
বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে সারাবো ও জিরানীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিজিএমইএ জানায়, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিভিন্ন কারখানায় হামলা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আরো ১০টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডরিন গার্মেন্টস, ডরিন অ্যাপারেলস এবং ডরিন ফ্যাশনে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এছাড়া সারাবো ও জিরানী এলাকায় আইআরআইএস ফ্যাব্রিক্স, কে এ সি কম্পোজিট, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াই পি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার, অটো টেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যারের কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আশুলিয়া এলাকায় ‘সাদাতিয়া সোয়েটার’ নামে একটি কারখানা বন্ধ আছে।
বিজিএমই’র তথ্য বলছে, সংগঠনটির আওতায় থাকা ২ হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে অক্টোবরে বেতন দেয়নি এমন কারখানার সংখ্যা ১০১টি এবং সেপ্টেম্বরের বেতন হয়নি একটি কারখানায়।