শিরোনাম

South east bank ad

শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়ায় বেনাপোলে আজও ফল আমদানি বন্ধ

 প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়ায় বেনাপোলে আজও ফল আমদানি বন্ধ

তাজা ফল আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ফ্রেস ফুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে আজও (বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর শুল্ক প্রত্যাহার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ফল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন আমদানিকারকরা বলে জানিয়েছেন ফল আমদানিকারক শেখ মেহেদী হাসান।

আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা পড়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। শুল্ককর বৃদ্ধিতে বাজারে কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। আমদানি একেবারে বন্ধ থাকলে সামনের দিনে ফলের বাজার আরো উর্ধ্বগতির আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, ভারত থেকে যে সকল খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় এর মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন প্রকারের তাজা ফল। ফল আমদানির ক্ষেত্রে আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করতো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিকেজি ফলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ টাকা।

গত ০৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির উপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এতে বর্তমানে কেজিতে শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে ১১৬ টাকা। ফলে আমদানি খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে বিক্রেতারা।

বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফ্রেস ফুটস ইমপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে আল্টিমেটাম দেয় আগামী ০৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়তি শুল্ককর তুলে না নেওয়া হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থলবন্দর,নৌবন্দর দিয়ে তাজাফল আমদানি বন্ধ রাখা হবে।

বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় আমদানি কারকরা বাধ্য হয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখে। ৪ ও ৫ ফ্রেব্রুয়ারি দুই দিন বন্ধ থাকবে ফল আমদানি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে বর্ধিত শুল্ককর তুলে না নিলে পরবর্তীতে আবারো কর্মসূচি দিবে বাংলাদেশ ফ্রেস ফুটস ইমপোর্টস এ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে শুল্ককর বৃদ্ধির কারনে বর্তমানে খুচরা বাজারে এক কেজি আপেল প্রকার ভেদে ৩০০-৩৬০, মালটা কেজি ৩০০ -৩২০, কমলা ২৫০-৩০০ এবং আঙুর প্রকার ভেদে ৪৫০- ৫০০ টাকা,ডালিম ৪৫০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বেনাপোল বন্দর ওয়ারহাউজ সুপারেন্টেন্ড তানজিবুর রহমান জানান, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার প্রায় একশো কোটি টাকা টাকার রাজস্ব হারাবে।।

ফল আমদানিকারক শেখ মেহেদী হাসান জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় এ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোন ফল আমদানি তারা করছেন না।

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: