সায়েম সোবহান আনভীর : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে চলেছেন
‘সায়েম সোবহান ; যিনি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সম্ভাবনা খুুঁজে পান, যা অন্যরা দেখতে পায় না’ এ শিরোনামে এ বছর এপ্রিলমাসে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, সায়েম সোবহান আনভীর, যিনি ভাবেন সমাজ নিয়ে দেশ নিয়ে। এমন ভাবনা, নিজ প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী শক্তি তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের কাতারে উঠে এসেছেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছেন সায়েম সোবহান। প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন ক্লান্তিহীনভাবে নিরবে। দেশের বাণিজ্য, ম্যানুফেকাচরিং, খেলাধূলা এবং গণমাধ্যম-বিস্তৃত পরিসরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন। তার বহুমাত্রিক ও গতিশীল নেতৃত্ব আর অনন্য মেধায় জোরালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এসব খাতে। বসুন্ধরার ব্যবসা দেশ ও মানুষের কল্যাণেই এগিয়ে যাচ্ছে। যা সীমাবদ্ধ নয় ধর্ম, বর্ণ বা আঞ্চলিক পরিচয়ে।
মেধা ও দক্ষতার সুনিপণ সমন্বয়ে শিল্পখাতকে আর্টে পরিণত করেছেন সায়েম সোবহান। অসম্ভবকে করেছেন সম্ভব। তার যোগ্য নেতৃত্ব আর উদ্ভাবনী কৌশলে যা একসময় ছিলো স্বপ্ন তাই এখন বাস্তবতা। দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে তিনি একজন সর্বসম্মানিত ও প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সায়েম সোবহান এর উদ্যোগে ৬ হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ বিতরণ
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। চলমান করোনা সংকটকালেই শুরু হয়েছে বন্যা। এমন পরিস্থিতিতে দুয়ারে এসেছে ঈদুল আজহা। ঈদের আগে তাই নিজস্ব তহবিল থেকে ৬ হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। করোনাভাইরাস ও বন্যা সংকট মোকাবিলায় দেশব্যাপী বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলতি বছরের ২৯ মার্চ। চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত সারা দেশে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গতকাল শনিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭, ১৮ ও ৪৩ নম্বরসহ মোট সাতটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকটি পরিবারকে ৫ কেজি মিনিকেট চাল, ২ কেজি মশুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আটা এবং ১ প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়েছে।
মহামারীর সময়ে পদোন্নতি-বেতন বৃদ্ধি চলমান রেখেছেন সায়েম সোবহান আনভীর
করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেমন সঙ্কটের মুখে, তেমনি দেশেও অর্থনৈতিক দুর্যোগ চলছে। চারিদিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকারখানা, কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না, চলছে ছাঁটাই। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বসুন্ধরা গ্রুপ কর্মীবান্ধব বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেছে। এই করোনাকালে ব্যবসায়িক মন্দার মধ্যেও বসুন্ধরা গ্রুপ বিক্রয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান ও বেতন বৃদ্ধি করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাকালীন কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। এই মহামারির সময়ে সবাইকে নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব ও পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কার্যক্রম অব্যহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একইসঙ্গে উৎসাহ যোগাতে সেলস্ ও মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি প্রদান করেন। এটি দেশ তথা সারা পৃথিবীর এই দুর্যোগের মধ্যেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পিসিআর ল্যাব স্থাপনে অর্থায়ন করে রাঙামাটিবাসীর পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বসছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এবং প্রতীক্ষিত পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব। এই ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য পুরো অর্থের যোগান দিচ্ছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার হাতে ৬৯ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সিভিল সার্জন ও রাঙামাটির দায়িত্বশীলরা পার্বত্য রাঙামাটিবাসীর পাশে দাঁড়ানো বসুন্ধরা গ্রুপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাংবাদিক খোকন, অপু ও আসলাম এর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিন সাংবাদিকের পরিবারকে ৫ লাখ করে মোট ১৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক সাংবাদিকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। অতীতেও সংবাদকর্মী ও সাংবাদিকরা কোনো সংকটে পড়লে বসুন্ধরা গ্রুপ পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় করোনার বলি হওয়া এই তিন সাংবাদিকের পরিবারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
কোভিড-১৯ সহায়তা
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি একটি হাসপাতালের জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে এ লড়াইয়ে সামনের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছেন সায়েম সোবহন আনভীর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রস্তাব দেন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাকে (আইসিসিবি) করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ২ লাখ ৪০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ৫ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে রুপান্তর করার।
জাতীয় এ সংকট মোকাবিলায় বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে পুলিশ, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও র্যাবসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সায়েম সোবহান ব্যক্তিগতভাবে ৫ লাখ ফেস মাস্ক এবং ৫ হাজার পিস পিপিই বিতরণ করেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ২৫ হাজার ব্যাগ দরিদ্রদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বিতরণ করা হচ্ছে এমন ৩ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য।
বাংলাদেশ আজ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন দেশগুলোর অন্যতম। এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখে যাচ্ছে রাজনৈতিক, করপোরেট ও সামাজিক নেতৃত্ব। উন্নয়নশীল ও একটি উন্নত দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের রুপান্তরে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সায়েম সোবহান আনভীর।
দেশ ও মানুষের সেবায় অবদান
মানুষের সেবায় সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন সায়েম সোবহান। ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান সবাইকে দান করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু অর্থ দিয়েই ক্ষান্ত নন, নিজের মূল্যবান সময় এবং সৃজনশীলতা বিনিয়োগ করছেন সমাজের টেকসই পরিবর্তনে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তিনি মানুষের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দান করেন। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ নিজেই অনেক দাতব্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের যেকোনো সংকট সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে তুলেছে বসুন্ধরা। যার অন্যতম বসুন্ধরা-আদ-দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং অ্যাডভোকেট আতামেয়া ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক, যেখানে দরিদ্র মানুষদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষদের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছে ও বিনামূল্যে সার্জারি করছে। বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট সুবিধাবঞ্চিত তরুনদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা ও পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিধবা নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বসুন্ধরা পরিচালনা করছে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ।
এক নজরে সায়েম সোবহান আনভীর
এই সময়ে বাংলাদেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি জগতের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে সায়েম সোবহান আনভীর খুব পরিচিত একটি নাম, সহজ চেনা একটি মুখ। বাবা আহমেদ আকবর সোবহানের প্রতিষ্ঠিত বসুন্ধরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বসুন্ধরা গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিসাবে ব্যবসা শুরু করলেও এখন তারা ৫৩ টরি বেশি ব্যবসা এর সাথে সম্পৃক্ত; যার মধ্যে আবাসন,নির্মাণ, সরবরাহকারী, মিডিয়া, ভারী ইস্পাত এবং প্রকৌশল সাপোর্ট, খাদ্য ও পানীয়, কাগজ এবং সজ্জা, বিকল্প বিকল্প উৎস, সামুদ্রিক পরিবহণ, তথ্য প্রযুক্তি, খনন এবং ড্রেজিং, বৃত্তিমূলক এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা, ইউটিলিটি সার্ভিস সাপ্লিমেন্ট, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইত্যাদি। সম্মানিত চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ২০০১ সালে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরচিালক হিসাবে সায়েম সোবহান আনভীরকে নিয়োগ দেন। সায়েম যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করেছেন। সেখানে তিনি ইলির কিংস স্কুল , ক্যামব্রিজশায়ার স্কুল এর পর তিনি ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বা বিবিএ করেন লন্ডনে অ্যামেরিকান ইন্টরন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সায়েম সোবহান আনভীর ৩১ শে জানুয়ারি ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা আফরোজা বেগম এবং বাবা আহমেদ আকবর সোবহান। তার সহধর্মীনির নাম সাবরিনা সোবহান। আনভির ২০ বছর বয়সে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিলেন, বয়সে অনেক ছোট হলেও তিনি দৃঢ়তার সাথেই হাল ধরে রেখেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের। বসুন্ধরা গ্রুপ মানব সম্পদ উন্নয়নে একটি নতুন যুগ খুঁজে পেয়েছে সায়েম সোবহান আনভীরকে সঙ্গে নিয়ে। ব্যবস্থাপনা পরচিালক সায়েম সোবহান আনভীর এর কঠোর পরিশ্রম, সততা আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ছাড়া ব্যবসায়ের প্রতিটি বিভাগে এই বিপুল সাফল্য অর্জন করা এত সহজ ছিল না। সায়েম সোবহান আনভীরের ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং সামর্থ্য আশ্চর্যজনক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, নেপাল, সৌদি আরব ইউ.ই., যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, গ্রীস, কানাডা, মিশর, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করেন। সায়েম সোবহান আনভীর এমন একজন ব্যক্তির নাম, যিনি তাঁর সামাজিক কার্যক্রমের জন্য বিখ্যাত। ঢাকা ক্লাব লিমিটেড (ডিসিএল), গুলশান ক্লাব লিমিটেড (জি সি এল), সকল কমিউনিটি ক্লাব (এসিএল) এবং উত্তরা ক্লাব লিমিটেড (ইউসি) এর সদস্য|। দেশের ক্রীড়া জগতেও তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দেশের প্রখ্যাত ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রেরও চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সায়েম সোবহান এর অবদান তাকে সিআইপির মর্যাদা দান করেছে। তিনি যে শুধু দেশেই তার কর্মের স্বীকৃতি পেয়েছেন তা নয়। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি ক্রীড়া, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, সমাজ সেবা ও গণমাধ্যমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতের মর্যাদাপূর্ণ দাদা সাহেব ফালকে এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড-২০১৭-এ ভূষিত হন সায়েম। বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষেট্রর মধ্যে বানিজ্য সম্পর্ক সংহত করার লক্ষে তার অবদানের জন্য ২০১১ সালে মার্কিন কংগ্রেসনাল স্বীকৃতি লাভ করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ব্যাবসায়িক পুরষ্কার লাভ করেন সায়েম যার অন্যতম ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় সেরা স্টল ট্রফি।
দেশের জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির একাগ্র প্রচারক সায়েম সোবহান তার মালিকানাধীন দেশের সবচেয়ে বড় মিডিয়াগ্রুপ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার কালের কন্ঠ, দেশের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান, নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম।
এ ছাড়া নতুন সাড়া জাগানো টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪ ও রেডিও ক্যাপিটাল এফএম ৯৪.৮, নিউজ চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ইতোমধ্যে মান ও গুণের কারণে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর সার্বিক দায়িত্বে থেকে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের নানামূখী উন্নয়নের খবর পৌছে দিচ্ছেন দেশ ও বিদেশের আপামর মানুষের কাছে। আদর্শের তাবেদার সায়েমের চিন্তায় দেশের মানুষ আর মানুষের উন্নয়ন।
দেশের মানুষকে একইছাদের নিচে সব ধরনের শপিংয়ের সুযোগ করে দিতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে তুলেছে বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। যা তৃতীয় প্রজন্মের শপিং কমপ্লেক্স। শুধু তাই নয় সিনেপ্লেক্স, ইনডোর অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ফুড কমপ্লেক্স এবং বিশ্বমানের অন্যান্য সেবাসহ এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শপিং কমপ্লেক্স। বসুন্ধরার অগ্রযাত্রায় সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে একটি বিটুমিন প্লান্ট। যা উদ্বোধন করা হয় এ বছর। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও বেসরকারি খাতের একমাত্র বিটুমিন প্লান্ট।