কুমির চাষে ব্যাপক সাফল্য

বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুমের পাহাড়ে কুমির চাষে বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কুমির চাষ প্রকল্পে ৬০০ বাচ্চা প্রজনন হওয়ায় এ সফলতা দেখে উদ্যোক্তারা মহা খুশি। ঘুমধুমের পাহাড়ে প্রতিষ্ঠিত কুমির চাষ প্রকল্পটি কেবল বাংলাদেশে নয় এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ কুমির চাষ প্রকল্প।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কুমির চাষ বিরাট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আকিজ ওয়াইল্ড লাইফ ফার্ম লিমিটেড।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালূখালী টেলিভিশন উপ- কেন্দ্র থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার ভিতরে ঘুমধুম পাহাড়ি এলাকায় ২৫ একর জায়গার উপর এ বৃহৎ কুমির চাষ প্রকল্পটি গড়ে তুলে দেশের বৃহত্তর বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের অপর একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আকিজ ওর্য়াল্ড লাইফ ফার্ম লিমিটেড এর স্বত্ত্বাধিকারী সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার সুলতান আহমদ জানান, মালয়েশিয়া থেকে ৫০টি কুমিরের বাচ্ছা আমদানি করে ঘুমধুমের পাহাড়ে আধুনিক ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কুমিরের চাষ করা হয়। গত কয়েক বছর পূর্বে গড়ে ওঠা এ প্রকল্পের মধ্যে ৩টি কুমির মারা যায়। ৪৭টির মধ্যে লালিত- পালিত ৩১টি মাদি কুমির বাচ্চা দেয়া শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে প্রায় ৬০০ কুমিরের বাচ্চার প্রজনন হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা, চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত খাবার প্রয়োগ করায় বর্তমানে সব বাচ্চা সুস্থ অবস্থায় দিন দিন বড় হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে কুমিরের মাংস ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পে উৎপাদিত কুমির এসব দেশে রফতানি করে হাজার কোটি টাকা আয় করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্যাপক অবদান রাখবে। কুমির চাষের পাশাপাশি এ প্রকল্পে প্রজাপতির চাষ, বার্ড পার্ক সহ কটেজ ও মিউজিয়াম হাউজ গড়ে তুলে প্রকল্পটিকে একটি পর্যটন স্পট হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এতে দেশি-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটলে সরকার পর্যটন খাতেও প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।