বাংলাদেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে জাপান
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেভাবে পাশে থেকেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও সেভাবে পাশে থাকব।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী জাপান সফরের সময় জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা হয়।
জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্ত প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) স্থাপনের বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমরা শিগগিরই সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করব।
শিল্পমন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশেনের সঙ্গে জাপানী শিল্প প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশে মোটর গাড়ি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। জাপানী রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’র আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। জাপানী রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব শরীফ মো. মাসুদ এবং ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রথম সচিব হারুতা হিরোকী উপস্থিত ছিলেন।