ইন্টারনেট শক্তি কাজে লাগিয়ে রেমিট্যান্সযোদ্ধা হবেন শিক্ষার্থীরা-জুনাইদ আহমেদ পলক
ইন্টারনেটের শক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল কর্মী হয়ে উঠবেন বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চাকরি প্রার্থী নন, চাকরি প্রদানকারী হিসেবে এসব শিক্ষার্থী রেমিট্যান্সযোদ্ধা হয়ে উঠবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চলনবিলের তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নাটোরের সিংড়ায় আয়োজিত দুদিনব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প ও চাকরি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার দুপুরে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে এ ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প ও মেলার উদ্বোধন করা হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বর্তমানে দেশে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, যারা বছরে দেড় বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছেন। আগামী ২০২৫ সালে আরো ১০ লাখ নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে, পাশাপাশি উপার্জন ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা যাতে বেকার না থাকে, সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ-তরণীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিতে প্রত্যেক যুবককে চাকরি প্রদানের কথা বলেছিলেন। আজকের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসীন হবেন।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইন্টারনেটের শক্তি ও তারুণ্যের মেধা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল কর্মী হয়ে গড়ে উঠবেন শিক্ষার্থীরা। তারা চাকরি প্রার্থী নন, চাকরি প্রদানকারী হবেন। তারা হবেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা। এজন্য সরকারের প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগাতে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরবর্তী ছয় মাসে প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘোষণা দেন জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন লানিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের পরিচালক হুমায়ন কবির। ক্যাম্পে উপজেলার ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে আর্নিং অ্যান্ড লার্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীন ৯৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়। এ মেলায় ২৫টি আইটি কোম্পানি অংশ নিয়েছে।