শিরোনাম

South east bank ad

দেশের প্লাস্টিক শিল্পকে পুরোপুরি কমপ্লায়েন্সে আনা হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

দেশের প্লাস্টিক শিল্পকে পুরোপুরি কমপ্লায়েন্সে আনা হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী

প্লাস্টিক খাতের উন্নয়নে সরকার অব্যাহতভাবে সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে নিজেদের দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে নকল পণ্য তৈরি বন্ধ করতে হবে। একসময় সারা বিশ্বে কমপ্লায়েন্স বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। সেজন্য কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে।’ গতকাল ১৫তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ারের (আইপিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ইয়র্কার ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসের সভাপতি জুডি ওয়াং। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিনদিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে। 

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য বিদেশে একটি জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা এ খাতকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি। এরই মধ্যে মুন্সিগঞ্জে ১০ একর জায়গায় প্লাস্টিক শিল্পপার্ক করা হয়েছে। কেমিক্যালের জন্যও আলাদা শিল্পপার্ক হচ্ছে। এ খাতকে পুরোপুরি কমপ্লায়েন্সের মধ্যে আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘সরকার প্লাস্টিককে সমর্থন দিচ্ছে। প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে, কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। শিগগিরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি প্লাস্টিকের টেকনোলজি সেন্টার করা হচ্ছে। পরে আরো দুটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি জানান, এ খাতকে এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তাদের আরো বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। বিশ্ববাজারে নিজেদের দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে নকল পণ্য তৈরি বন্ধ করতে হবে। এটি যেন পরিবেশের জন্য হুমকি না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। একসময় সারা বিশ্বে কমপ্লায়েন্স বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। এভাবে থাকলে তখন আর পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে না।

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বের ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক এ ফেয়ারে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ইউএসএ, ফ্রান্স, হংকং, ইতালি, জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মেলায় এসেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইপিএফ এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বড় ইভেন্টের একটি। এ মেলা প্লাস্টিক খাতে বিনিয়োগ, বাজারের আকার এবং জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী রফতানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশসহ মোট ২১টি দেশ থেকে ৪৯৪টি কোম্পানি ৭৫০টি স্টল নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে। এতে মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: