কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধের সিদ্ধান্ত
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে উল্লেখিত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের দাবি উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে এ তথ্য জানান- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
এর আগে, ১৯ আগস্ট বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে জাহিদ হোসেন বলেন, কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ এ অর্থবছরের বাজেটে দেওয়া আছে, সেটি বাতিল করা হোক। সর্বোচ্চ আয়করের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ শতাংশ জরিমানা যোগ করে সীমিত সময়ের (৩ থেকে ৬ মাস) জন্য এই সুযোগ পুনর্বহাল করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। আগামী জুলাই থেকে এক বছরের জন্য কালো টাকা সাদা করার এই ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে বলা হয়েছে, নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ বা সাদা করা যাবে। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে। একেক এলাকার জন্য বর্গমিটার অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিতে হবে।
দেশের আয়করের সর্বোচ্চ হার ২৫ শতাংশ। বিশ্লেষকদের অভিযোগ, কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মধ্যে সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অসৎ করদাতাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে।