সামিটের এলএনজি টার্মিনাল থেকে সুখবর এলো
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কাজ শেষ করে অবশেষে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহে প্রস্তুত হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (এসএলএনজি) এ তথ্য জানায়।
এই বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন সামিটের কাছে যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে দুই থেকে তিন দিন এই পরিমাণই সরবরাহ করতে পারবে। এরপর ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কার্গো এলে পূর্ণ ক্ষমতায় যেতে পারবে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, সবমিলিয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এক্সিলারেট এবং সামিটের টার্মিনাল দুটি থেকে ৯০০ থেকে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমরা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারবো বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় সামিটের টার্মিনাল। এরপর এটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। মেরামত শেষে জুলাইয়ের মাঝামাঝি চালুর কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়া কারণে পাইপলাইনের সংযোগ দিতে পারছিল না সামিট। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন মাস পর অবশেষে এটি চালু করা হলো।
এদিকে সামিটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকে থেকে সামিট এলএনজি টার্মিনাল প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট (এমএমসিএফডি) রিগ্যাসিফিকেশন করা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ, সার ও শিল্প খাতে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে টার্মিনালের জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় সামিটের কর্মীরা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা জাতীয় গ্রিডে আবার গ্যাস সরবরাহ চালু করতে দিন-রাত কাজ করেছেন। তিন মাসের বেশি সময় আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালে সামিটের টার্মিনাল যখন প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই সময় থেকে টার্মিনালের মেরামত সংক্রান্ত খরচ ও কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সামিটের প্রায় শতাধিক কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সামিটের টার্মিনাল বন্ধ থাকায় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ঘাটতি হয় দেশে। এতে করে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল।