South east bank ad

কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানে ত্রিশাল থানা পুলিশের নানা আয়োজন

 প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানে ত্রিশাল থানা পুলিশের নানা আয়োজন

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

“কমিউনিটি পুলিশিং এর মূলমন্ত্র, শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে উদযাপিত হলো “কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২। এ উপলক্ষে ত্রিশাল থানার পক্ষ থেকে দিনব্যাপি নানা অনুষ্ঠান কর্মসূচি’র আয়োজন করা হয়।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় থানার পক্ষ থেকে একটি বর্ণাঢ্য “র‍্যালি” বের করা হয়। র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইন উদ্দিন। র‍্যালিটি থানা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানা কম্পাউন্ডে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে বেলুণ ও পায়রা উড়িয়ে “কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২” এর শুভসূচনা ঘটান ওসি মো: মাইন উদ্দিনসহ স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে থানা কম্পাউন্ডে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প বাস্তবায়নে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাপনা অতি গুরুত্বপূর্ণ। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ এবং কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও উদঘাটন, জননিরাপত্তা বিধান এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ রাখতে এটি সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মআহবায়ক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির আকন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্নআহবায়ক এএনএম শোভা মিয়া আকন্দ, আশরাফুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, ত্রিশাল থানার সকল অফিসার বৃন্দ, কমিউনিটিং পুলিশ বৃন্দ এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশের ময়মনসিংহ জেলার তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম‍ শহীদুল হক ১৯৯৪ ইং সনে এই কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু করেন। সে সময় ময়মনসিংহে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় চুরি, ছিনতাই। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) আহমাদুল হক গঠন করেন টাউন ডিফেন্স পার্টি। এটি মূলত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি অংশ। ওই সময়ই প্রথম শহরবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাড়া-মহল্লায় পাহারাদার নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণই তাদের টাকা দিতেন। তাদের হাতে দেওয়া হয় টর্চলাইট, বর্শা। ঠিক সে সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে কাজ শুরু করেন। ময়মনসিংহ থেকে প্রাপ্ত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা পরবর্তীতে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেন এ কে এম শহীদুল হক।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: