পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের মুক্তমঞ্চে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ পত্র বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ বাংলাদেশের সকল নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পরীক্ষায় পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়ার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮৯, মানবিক বিভাগ থেকে ১৬৯ এবং ব্যবসায়িক শিক্ষা হতে ৬০ জন পরীক্ষার্থী সহ সর্বমোট ৪১৮ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বক্তব্যে দীর্ঘ দুই বছর ধরে অত্র প্রতিষ্ঠানে থাকাকালীন সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা, কলেজের পরিবেশ, ডিসিপ্লিন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার জন্য নিজেরা গর্ব অনুভব করেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ তাদের বক্তব্যে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ভালভাবে পড়াশোনা ও পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করার জোর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য তাগিদ দেন এবং তদের দোয়া ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ হতে যে ৪১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, তারা মূলত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ; ফলে তখন কোভিড-১৯ মহামারীর উচ্চ সংক্রমণ বিরাজমান ও মৃত্যু ঝুঁকি থাকার কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই ৬ মাস স্কুলে সরাসরি ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হলেও বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়নের কারণে পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে ভার্চুয়ালি ক্লাস নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের সিলেবাস সমূহ চালিয়ে নেওয়া এবং পরবর্তীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের ক্লাস রুমে সরাসরি পাঠদানের মাধ্যমে উল্লেখিত শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ থাকা কালে ভার্চ্যুয়াল ক্লাস এবং পরবর্তীতে সরাসরি ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের সক্রিয় অংশ গ্রহণ করার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ এর উপযুক্ত করে তোলার জন্য পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে আরো বলেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার কার্যক্রম সমাপ্ত করে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন তথা চাকরি করছেন ; উদাহরণ স্বরুপ অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে (১)মোঃ ছাব্বির আহমেদ, ইংরেজি বিভাগ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (২) আবু হেনা মোস্তফা জামান, বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (৩) তানভির আহমেদ, ফুড এন্ড নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্ট, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৪) রাসেল আহমেদ, সিভিল ডিপার্টমেন্ট, রুয়েট (৫) রেজা মোহাম্মদ আরিফ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৬) মোঃ শাহেদুর রহমান, বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম আরো বলেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল কুষ্টিয়া ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেয়া হয় পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়া। ১৯৯৯ সালে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়া হতে ১ম এইচএসসি ব্যাচ হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আর ২০২২ সালে ২৪তম এইচএসসি"র ব্যাচ হিসেবে ৪১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। পূর্ববর্তী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়া হতে শিক্ষা গ্রহণ করে অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম, সম্মান ও মর্যাদা যেমন ভূমিকা রেখে গেছেন ঠিক একইভাবে ২০২২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখে লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম, সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া এ সময় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য প্রদান প্রদান করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ নাজমুল আরেফিন, অধ্যক্ষ, পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, মোঃ শাহজালাল, সহকারি প্রধান শিক্ষক, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়ার অন্যান্য শিক্ষক - শিক্ষিকা মন্ডলী এবং ছাত্র - ছাত্রী বৃন্দ প্রমুখ।