র্যাব ১১, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক এক জন অপহরণকারী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার
র্যাব ১১, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবীকরা ০১ (এক) জন অপহরণকারী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার॥
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। যেখানেই মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে বা নারী নির্যাতন/অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেছে, র্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণ সংক্রান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখ দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে অপহরণকারী মোঃ হাসানুর রহমান সুজন (১৯), পিতা- মোঃ ইকরামুল হক, সাং- সাহেবগঞ্জ, পাঠানটারি, থানা- রংপুর সদর, জেলা- রংপুর’কে গ্রেফতার এবং ভিকটিম(১৫)কে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম আড়াইহাজার থানাধীন পুরিন্দা সাদ্দেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী। গত ১০/১১/২০২২ ইং তারিখ ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে
স্কুলের সামনে উপস্থিত হলে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে জোড়পূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে জিম্মি করে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পরিবারের কাছে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা কে এম আহাদ (৩৯) র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ বরাবর অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে র্যাব ১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেছেন।