চাঞ্চল্যকর কিশোরী গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী র্যাব ১১ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। যেখানেই মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে বা নারী নির্যাতন/ধর্ষণ/অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেছে, র্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণ সংক্রান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন পাড়াগাও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভিকটিম ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার পাড়াগাও এলাকার মৃত হাসান আলী এর ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে, অত্র মামলার ভিকটিম রূপগঞ্জ থানার লাভরাপাড়া এলাকায় তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরবর্তীতে একই দিন ভিকটিমের ফুফার বন্ধুর সাথে গাউছিয়া এলাকায় বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে একই তারিখ রাত ০৮.৪৫ ঘটিকার সময় রিক্সা যোগে ভিকটিমের ফুফুর বাড়িতে ফেরার পথে রূপগঞ্জ থানার পাবই এলাকায় অবস্থিত এসকেএফ ঔষধ কোম্পানির সামনে পৌছলে এজাহারনামীয় আসামিরা রিকশা থামিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে রূপগঞ্জ থানার ঠাকুর বাড়িরটেক সিম গার্মেন্টস এর দক্ষিণ পাশে ড্রেজার ঘরের মধ্যে নিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেসময় ভিকটিমের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এই কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৫০ তারিখ ১৮ নভেম্বরর ২০২২। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী আব্দুল লতিফ (৩৮)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য রূপগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।