পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ২২ শতাংশ

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচকে নিম্নমুখিতা থাকলেও লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ২২৬ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯০২ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টির, কমেছে ২০৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৮টির। গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, রবি আজিয়াটা, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে মোট ২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। আর খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের দখলে ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৯টি বাদে বাকি সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে টেলিকম খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল সিমেন্ট খাতে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পাট খাতে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে গত সপ্তাহে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া সিরামিক খাতে ৪ দশমিক ৫৭, সেবা ও আবাসন খাতে ২ দশমিক ৩৬ এবং পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১২ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৪ হাজার ৫৭৬ পয়েন্ট। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে সামান্য কমে ৮ হাজার ৮৫০ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮ হাজার ৮৫০ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ২৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ১২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির বাজারদর।