স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশে আইপিওর অনুমোদন দেবে বিএসইসি

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে পাবলিক অফার অব ইকুইটি সিকিউরিটিজ বিধিমালা, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের ভিত্তিতে আইপিওর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে কমিশন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৭৭তম কমিশন সভায় গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে পাবলিক ইস্যু বিধিমালা, ২০১৫ বাতিল করে পাবলিক অফার অব ইকুইটি সিকিউরিটিজ বিধিমালা, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এটি জনমত যাচাইয়ের জন্য বিএসইসির ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের ভিত্তিতে আইপিওর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বিএসইসি। ফলে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ হবে। পাশাপাশি ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্ন্যান্স, নিরীক্ষক ও ইস্যু ম্যানেজারদের দায়িত্ব ও ভূমিকা স্পষ্ট করা হয়েছে। ফলে তাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়বে।
নতুন বিধিমালার মাধ্যমে আইপিও মূল্য নির্ধারণ বা প্রাইসিংয়ের উন্নতি হবে, যা ন্যায্য প্রাইসিং নিশ্চিত করবে। এতে ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহী হবে বলে আশা করছে বিএসইসি।
এর আগে মে মাসে পাবলিক ইস্যু বিধিমালা বিষয়ে বিএসইসির কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেয় সংস্কার টাস্কফোর্স। সুপারিশসগুলোর মধ্যে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাথমিক অনুমোদন এবং তার ভিত্তিতে বিএসইসি চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। আইপিও বা পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যারা নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করবে তাদের উপযুক্ত ও সঠিক মানদণ্ড দেয়া হয়।
সুপারিশে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী কোম্পানির সঠিক মূল্যায়নের জন্য একটি সুগঠিত আইপিও ভ্যালুয়েশন মডেল তৈরি করে দেয়া হয়। যাতে আগামীতে ভালো ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তিতে উৎসাহী হয়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত রাখতে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজারদের সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্ব ও ভূমিকা নির্ধারণের পাশাপাশি ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণে বিস্তারিত সুপারিশ করা হয়।