বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে মিলল ৩৬৪১ ভেজাল ওষুধ
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরসহ তার আশপাশের উপজেলায় ভেজাল ওষুধের আধিক্য তুলনামূলক বেড়ে গেছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি অধিক মুনাফার আশায় এমন কাজে জড়াচ্ছে। চট্টগ্রামের একটি ফার্মেসি থেকে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে ৩ হাজার ৬৪১ ভেজাল ওষুধ জব্দ করেছে র্যাব।
গত (১৩ মার্চ) রোববার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ২৯ জহুর শপিং সেন্টারের মেসার্স যমুনা মেডিসিন শপ নামে একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে ভেজাল ওষুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ হাটহাজারী ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ সময় একাধিক কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ৩ হাজার ৬৪১টি ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
গতকাল (১৪ মার্চ) সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত এসপি মো. মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন জহুর শপিং সেন্টারের একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চনা গ্রামের হিমাংশু দাসের পুত্র লিটন দাস (৪৩) এরং হাটাহাজারী পৌরসভার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন চৌধুরীর পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল আলী চৌধুরী (৩৫)।
এ ব্যাপারে র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার জানান, অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত ভেজাল ওষুধের প্যাকেটগুলোর মধ্য হতে নমুনা হিসেবে কয়েকটি প্যাকেটের মোড়ক উঠানোর চেষ্টা করা হলে দেখা যায় এক কোম্পানির প্যাকেটের ওপরে অন্য কোম্পানির মোড়ক লাগানো আছে।
এ সময় গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ওষুধের কোম্পানির নাম এবং গুণগত মান পরিবর্তন করে খাঁটি ওষুধ হিসাবে বিক্রয় করে আসছিল।
পরে গ্রেফতারকৃতদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধের পরিবর্তে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড বা অন্যান্য ওষুধ বিক্রি হচ্ছে; যা খেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে।