শিরোনাম

South east bank ad

মেয়র তাপসের বহরের সঙ্গে ফেরিতে ওঠায় দুজনকে বেদম পিটুনি’ শীর্ষক সংবাদে ডিএসসিসির অবস্থান স্পষ্টীকরণ

 প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সিটি করপোরেশন

দেশের স্বনামধন্য একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “মেয়র তাপসের বহরের সঙ্গে ফেরিতে ওঠায় দুজনকে বেদম পিটুনি” শীর্ষক সংবাদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) গোচরীভূত হয়েছে। জাতীয় দৈনিকের সেই সংবাদকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে কয়েকটি টেলিভিশনের অনলাইন প্লাটফর্মে এবং কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমেও উক্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ধরনের সংবাদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং করপোরেশনের ‘ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার নামান্তর’ বিধায় উল্লিখিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিএসসিসির সার্বিক অবস্থান জনসাধারণকে অবহিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।বস্তুত ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস করপোরেশনের সকল কাউন্সিলর ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ২৮ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (১৩ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দ) তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে নির্ধারিত সময় (সন্ধ্য ৬.৪৫টা) ফিরে আসলেও মেয়র এর বহরের জন্য নির্ধারিত ফেরি সেখানে ছিলো না। তখন ফেরি সেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পুরো বহরকে ‘শাহ আমানতপুরী’ নামক ফেরিতে উঠিয়ে দেন। ইতোমধ্যে সেই ফেরিতে বহরের পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি উঠে পড়ে। এতে বহরে থাকা তিনটি বাসের জন্য ফেরিতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ফেরি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ সেসব ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে নেমে যেতে অনুরোধ করেন। এ প্রেক্ষিতে অন্যান্য সকল যানবাহন নেমে গেলেও দুটি গাড়ী নামতে গড়িমসি করে।এরই মধ্যে মেয়র মহোদয়ের বহরের জন্য নির্ধারিত ‘ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা’ নামক ফেরিটি ফেরিঘাটে আনা হয়। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও সেই দুটি গাড়ী নেমে যেতে সম্মত না হওয়ায় মেয়র মহোদয় প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থনের পর ঐ ফেরি (শাহ আমানতপুরী) হতে নেমে আসেন এবং সকল গাড়িকে বহরের জন্য নির্ধারিত ‘ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা’ ফেরিতে তোলার সিদ্ধান্ত দেন। সে সময় ‘শাহ আমানতপুরী’ ফেরি হতে বহরের গাড়িগুলোকে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বর্ণিত দুই ব্যক্তি তাদের গাড়ি না সরানোয় গাড়ি স্থানান্তর বাধাগ্রস্থ হয়। অধিকন্তু সেই দুই ব্যক্তি কখনো এনএসআই কর্মকর্তা, কখনো পুলিশ সুপারের আত্মীয়, কখনো স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে সেখানে উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে ধমকাতে থাকেন। তাদের উস্কানিমূলক কথাবর্তায় সেখানে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিগত গাড়িগুলোর লোকজনও সেসময় বিরক্তি প্রকাশ করেন। অবশেষে সেই দুই ব্যক্তির গাড়ি পাশ কাটিয়ে পুরো বহরের গাড়িগুলোকে ‘ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা’ নামক ফেরিতে স্থানান্তর করা হয়।বহরের সকল গাড়ি স্থানান্তরিত হলে রাত ৭.৫৫টা নাগাদ মাননীয় মেয়র সকল সম্মানিত কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দকে নিয়ে ফেরিতে অবস্থান করেন। ফেরিতে অবস্থানকালীন রাত ৮টা নাগাদ হঠাৎ ফেরির বাইরে শোরগোলের শব্দ শোনা গেলে ডিএসসিসির কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ শোরগোলের কারণ জানার চেষ্টা করেন।

খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে, কথিত সেই ব্যক্তিদ্বয়ের অনড় মনোভাবের জন্য ফেরি পরিবর্তনজনিত কারণে বহর ব্যতীত অন্যান্য ব্যক্তিগত গাড়ির লোকজনেরও সময়ক্ষেপণ হওয়ায় তারা সেই দুই ব্যক্তির ওপর সংক্ষুদ্ধ হন। আরও জানা যায় যে, সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যক্তিগত সেসব গাড়ির চালকগণ বর্ণিত অনড় মনোভাবের সেই দুই ব্যক্তিকে উত্তম-মধ্যম দিয়েছেন এবং অবস্থা বুঝতে পেরে পরে সেই দুই ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।বর্ণিত/কথিত সেই দুই ব্যক্তিকে জখম কিংবা মারধরে ডিএসসিসি মেয়র মহোদয়ের প্রটোকলে থাকা কোনো ব্যক্তি কিংবা ডিএসসিসির কোনো স্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনভাবেই জড়িত নয়। তাই, এ ধরনের সংবাদে মেয়র মহোদয়ের বহরকে জড়িয়ে দেওয়া কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। অধিকন্তু সেই ব্যক্তিদ্বয়ের অসহযোগিতামূলক আচরণের জন্য মাননীয় মেয়র মহোদয়সহ পুরো বহরকে ফেরি পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং এতে প্রায় দেড় ঘণ্টারও অধিক সময় ফেরিতে অবস্থান করতে হয়েছে। দু’জন ভুক্তভোগী ব্যক্তির বরাতে পরিবেশিত সংবাদের শেষ কয়েক লাইনে বলা হয়েছে যে, (শেষ প্যারায়)“গতকাল বিকেলে মেয়র তাপসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ডিএসসিসির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।” বর্ণিত বিষয়টি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কারণ,ডিএসসিসির মাননীয় মেয়র মহোদয় কিংবা বর্ণিত কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট দৈনিক পত্রিকারটির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে কেউ ফোন দেননি। সুতারাং,এ সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত জেলা প্রতিনিধির সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি এবং সে প্রেক্ষিতে কোনো কথাও হয়নি। তাই, সংবাদে বর্ণিত ‘মেয়র তাপসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি’ কিংবা ‘ডিএসসিসির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি’ বলে যে বিভ্রান্তিকর বিষয়াদির অবতারণা করা হয়েছে তা নিতান্তই অমূলক।আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চায় যে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাথে ডিএসসিসি সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিবর্গ জড়িত নয়। ডিএসসিসি গঠনমূলক সমালোচনা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকে সাধুবাদ জানায় এবং বস্তুনিষ্ঠ সেসব সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রায় অধিকাংশ সময়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কারণ, ডিএসসিসি বিশ্বাস করে, এই নগরীকে সত্যিকার অর্থে একটি উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা এবং সহযোগিতা একান্ত আবশ্যক। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ নয় এমন সংবাদ পরিবেশন কাম্য হতে পারে না। তাই, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসহ সকল গণমাধ্যমের সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে যে,এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের অভিযোগকেই শুধু আমলে না নিয়ে ঘটনার আদ্যোপান্ত পুরোপুরি অবগত হওয়ার পর অভিযোগের সত্য-মিথ্যা যাচাইপূর্বক সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

BBS cable ad

সিটি করপোরেশন এর আরও খবর: