বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার : মশা নিধন কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উদ্যোগ
মশা নিধন কর্মীদের নজরদারি করতে বায়োমেট্রিক ট্র্যাকারের ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের উপস্থিতি এবং তাদের গতিবিধি নজরদারি করা যাবে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর থেকে এই ট্র্যাকার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এর মাধ্যমে মশা নিধন কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে এবং দায়িত্বরত অবস্থায় তারা কোথায় যায় তা দেখা যাবে। এখানে ১২শ’ মশা নিধন কর্মী উপস্থিত থাকার কথা, কিন্তু তারা সবাই এসেছে কিনা তা আমরা জানি না। তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। এই সমন্বিত অভিযানের প্রথম দিনেই আমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। তাই তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সনাতনি পদ্ধতি থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে মনিটরিং করার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, স্মার্ট সিটি গড়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, স্মার্ট পদ্ধতিতে সবকিছু মনিটর করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ডিভাইস দেওয়া হবে। মশা নিধন কর্মীরা দায়িত্ব শুরুর আগে এবং দায়িত্ব শেষ করার পরে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা দেবেন। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, মনিটরিং তার মধ্যে একটি।
মেয়র আতিক আরও বলেন, সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল ডোবা, নালা, পুকুর, অন্যান্য, জলাশয় পরিত্যক্ত জমি নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করতে হবে। যার যার ডোবা, নালা, জলাশয় তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
ট্র্যাকার উদ্বোধনের পাশাপাশি মশা নিধনে সমন্বিত অভিযানের শেষ দিনের অভিযানও পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র। পরিদর্শনকালে একটি খালের উপরে অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবনও উচ্ছেদ করেন তিনি।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর স্লুইচ গেটের কাছে পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান খিদির খালের সংযোগ মাটি দিয়ে ভরাট করে ‘সাফা টাওয়ার’ নামে প্রস্তাবিত একটি বহুতল মার্কেট সেলস অফিস নির্মাণ করেছে। এর ফলে খালে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে কলাগাছ, কচুগাছ, আগাছা, জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এটি মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। তাই আতিকুল ইসলাম ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।
ডিএনসিসি জানায়, বেলা ১টার মধ্যে নিজেদের বুলডোজার দিয়ে ওই অফিস এবং পার্শ্ববর্তী দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, অবৈধভাবে নির্মিত কোনো স্থাপনা ভাঙতে কোনো ধরনের বৈধ নোটিশ দেওয়া হবে না। দখল করা এই স্থানটি পুরোটাই সিটি কর্পোরেশনের। এটি খালের উপরে। তারা কীভাবে এই জায়গাটি দখল করলো? দুই পাশে খিদির খাল মাঝখানে এই জায়গা। এই যে খালের জায়গার উপরে তারা ভবনটি তৈরি করলো, এতে কার লাভ হলো? অবৈধভাবে কোনকিছুই দখল করে রাখা যাবে না।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, মো. ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।