ডিএসসিসিতে মশা মারতে ব্যাঙ!
মশা মারতে কামান ব্যবহার না করলেও মশা নিধনে এবার ব্যাঙ ব্যবহার করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর আগে মশা নিধনে গাপ্পি মাছ, হাঁস চাষ ও ড্রোন ব্যবহার করে মশা নিধনে ব্যর্থ হয়েছে ডিএসসিসি।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে আসা এসব ব্যাঙ নগরীর বিভিন্ন পুকুর ডোবা ও জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ডিএসসিসির কয়েকটি জলাশয়ে এরই মধ্যে কিছু ব্যাঙ ছাড়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাছ ও হাঁস চাষের মাধ্যমে নগরীতে মশা নিয়ন্ত্রণের কথা জানান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাই নগরীর বিভিন্ন পুকুরে মাছ ও হাঁস অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুকুর ও জলাশয়ের পানি অতিরিক্ত দূষণের কারণে মাছ মারা যায়। আর হাঁস হয়তো চুরি হয়ে গেছে।
ডিএসসিসির একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব উদ্যোগে যখন কোনোভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তখন এবার নতুন করে নগরীর পুকুর-ডোবাসহ জলাশয়গুলোতে ব্যাঙ অবমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের শিকার পুকুর ও জলাশয়ে এই ব্যাঙ কতদিন বাঁচবে তা নিয়ে খোদ সিটি করপোরেশনই শঙ্কা প্রকাশ করেছে। কারণ এর আগে এসব পুকুর ও জলাশয়ে অবমুক্ত করা মাছ বেশি দিন বাঁচেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ব্যাঙ দিয়ে মশা নিধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কুমিল্লার বিভিন্ন জলাশয় থেকে ব্যাঙ এনে ঢাকার কিছু জলাশয়গুলোতে অবমুক্ত করেছি। আশা করছি আমাদের এবারের উদ্যোগটি কাজে লাগবে। কারণ আমাদের আবহাওয়ায় ব্যাঙ টিকে থাকবে এবং ব্যাঙ দিয়ে মশা নিধন করা সম্ভব হবে। তবে উদ্যোগটি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সব অধিদফতরের সমন্বয় লাগবে।