ডিএনসিসির ছাদবাগান ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে: মেয়র আতিক
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় এডিস মশার উৎস খুঁজতে ড্রোনের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার বাড়ির ছাদ পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া ছাদ বাগানগুলো মনিটরিং করা হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে। এর ফলে আমাদের কাছে একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকের ভুল ধারণা ড্রোন দিয়ে মশা মারছে ডিএনসিসি, এটি আসলে ঠিক নয়। আমরা ড্রোন দিয়ে সার্ভে করেছি, কোথায় কোথায় মশার উৎপত্তিস্থল আছে। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরি করেছি। ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় এডিস মশার উৎস খুঁজতে ড্রোনের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার বাড়ির ছাদ পরিদর্শন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন একা নয় বরং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। আমরা নিজেরাই এডিসের লার্ভার প্রজননক্ষেত্র তৈরি করি। সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সবাই সচেতন না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যদিও জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমরা ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমরা চাই ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সেজন্য জনগণের সহযোগিতা চাই।
প্রচারাভিযানে ডিএনসিসি মেয়র মধুবাগ এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং নিজে মাইকিং করে সচেতন করেন।
ডিএনসিসি মেয়র মধুবাগের শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন তিনি।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন করে তুলবেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিতে হবে। জমে থাকা পরিষ্কার পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়।
ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠেয় ডিএনসিসিতে অনলাইনে কর পরিশোধ বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মিতু আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।