আপনার পরিণতি খুব খারাপ হবে : মেয়র আইভী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় গেঞ্জাম করা হয়। দল ক্ষমতায় এলে একটি পক্ষের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হই। কিছুলোক দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এগুলি বন্ধ করেন, নয়তো আপনার পরিণতি হবে খুব খারাপ।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা শ্রমীক লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়গঞ্জের এমপি শামীম ওসমানকে উদ্যেশ্য করে মেয়র আইভী এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে আমার ওপর হামলা হলো, সেখানে হকার ছিল না, কতিপয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। ওই বিষয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করায় আমি নাকি মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেছি। এরকম মামলা আমাদের থেকে ৫০টা হওয়ার কথা ছিল। আপনার ভাগ্য ভালো, আপনি বেঁচে গেছেন আমরা মামলা-মোকদ্দমা করি না। দলকে সংগঠিত করে দলের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সময় পাই না, আর আপনার বিরুদ্ধে মাথা ঘামানোর সময় নাই।
শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে আইভী বলেন, নতুন নির্বাচন আসলেই আপনি স্বক্রিয় হয়ে যান। আপনার এই হুঙ্কার দেখিয়ে লাভ হবে না। এর চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেন, জনকল্যাণে কাজ করেন। এই শহরের মানুষকে এত বেশি অত্যাচার করা হয়েছে, নেতৃবৃন্দকে করা হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা নিরবে কাজ করে যাচ্ছি, আমাদের কাজ করার সুযোগ দেন। আমরা একত্রে কাজ করতে চাই, আপনার ভয়ে অনেকে আমাদের সঙ্গে এসে কাজ করতে ভয় পায়। দলের মধ্যে আপনি সবচেয়ে বড় বিভেদ তৈরি করেন। আপনি জামায়াত-বিএনপিকে পেট্রোনাইজ করেন। এসব বন্ধ করেন, অন্যথায় আপনার পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সন্নিকটে। যেখানেই যাবেন আওয়ামী লীগের সাফল্য তুলে ধরুন। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে আওয়ামী লীগ কাজ করেনি, এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। এগুলো আমরা যারা দল করি তাদের দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে দলের দুঃসময়ে কারা পাশে ছিল, আজকে যারা হুঙ্কার দিয়ে বড় বড় কথা বলেন, তারা ওয়ান ইলিভেনের সময় কোথায় ছিলেন।
জেলা শ্রমীক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমূখ।