পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বরাদ্দ বাসা প্রধানমন্ত্রীর উপহার: তাপস
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বরাদ্দ বাসাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ১৪ নম্বর আউটফলের ১০তলা বিশিষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস- শাপলা, শালুক ও পলাশ এ ১৭০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর মধ্যে বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন মেয়র তাপস। এসময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, আজ আমরা ১৭০ জনের মধ্যে বাসা বরাদ্দ দিয়েছি। এই বাসা বরাদ্দ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় হলেও তা আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। কারণ এই বাসা বরাদ্দের যে মূল নীতিমালা বা আইন ছিল, সেটি নিয়মিত কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনা অনুধাবন করেছেন যে, আমাদের এই বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতা কর্মী হরিজন, মুসলিম, তেলেগু, মানামি সম্প্রদায়ের যারা নিম্নআয়ের এবং যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তিনি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই বাসস্থানের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতায় আপনাদের (পরিচ্ছন্ন কর্মীদের) ঠিকানা করে দিলেন।
পর্যায়ক্রমে আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের বাসাগুলো কিছু প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে, আবার কিছু বাসার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলমান ভবনগুলোর নির্মাণ শেষ করে আমরা সেগুলোও পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ দেবো।
তিনি বলেন, আমাদের তেলুগু সম্প্রদায়কে যে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিছু বাসা খালিও রয়েছে। আমি বরাদ্দ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি, অচিরেই প্রাপ্যতা তালিকা সম্পন্ন করে সেগুলোও যেন তেলেগু সম্প্রদায়ের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর আজ বরাদ্দ দেওয়া তিনটি ভবনের মধ্যে ১২০টি বাসা বাকি রয়েছে। এখনো যারা প্রকৃত পরিছন্ন কর্মী আছেন, যারা এখনো পাননি, তারা আবেদন করতে পারবেন। আমরা এ বছরের মধ্যেই বাকি ১২০টি বাসা বরাদ্দ দিয়ে দেবো।
কোথাও অন্যায় কিছু দেখলে তা জানানোর আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, কোথাও যদি অন্যায় বা অন্যায্য কিছু হয় তাহলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, আমাদের জানাবেন। আমরা কিন্তু কোনো অন্যায়, কোনো অন্যায্য বরদাশত করবো না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমরা গত দুই বছর ধরে কোনো অনিয়ম ও অন্যায় বরদাশত করিনি। তা যে পযার্য়েরই হোক, যত বড় মাপেরই হোক। আমরা কোনো রকমের আপস করিনি, করছি না।
করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল সরদার।