নতুন ড্যাপে বড় চ্যালেঞ্জ ফ্লোর এরিয়া রেশিও
নতুন ড্যাপে নির্ধারিত রাস্তার প্রশস্ততার অনুপাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিওকে (এফএআর) আবাসন শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিংয়ের দ্বিতীয় সভায় তারা এ দাবি করেন।
পরিকল্পিত আবাসন ও উন্নত রাজধানী গড়তে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নতুন এ পরিকল্পনায় টেকসই নগরায়ণবান্ধব উদ্যোগ থাকলে, আবাসন শিল্পের জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গিয়েছে বলে দাবি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব)।
সভায় আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা জানান, নতুন ড্যাপে রাস্তার প্রশস্ততার অনুপাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রশস্ত রাস্তা না থাকলেও ৮-১০তলা ভবন নির্মাণ করা যেত, এখন সেখানে অনুমোদন পাওয়া যাবে চার-পাঁচতলার। এ কারণে স্বল্প প্রস্থের রাস্তার পাশের জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৈষম্যের শিকার হবেন আবাসন ব্যবসায়ীরাও। এমন অবস্থায় শিল্পটি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে দাবি তাদের।
বৈঠকে জানানো হয়, আগে রাজধানীতে জমির নিবন্ধন ফি নির্ধারণ হতো মৌজার দর অনুযায়ী। নতুন ড্যাপে সেটিকে পরিবর্তন করে বাজার মূল্য অনুযায়ী নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। এটিও আবাসন শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আবাসন খাতের সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের ড্যাপ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ড্যাপে বেশকিছু ভালো দিক রয়েছে। তবে আবাসন খাতের জন্য কিছু জটিলতা থেকে গিয়েছে। সমাধানে আসতে রাজউক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিহ্যাব।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা আমাদের কাজ। আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমিতির সঙ্গে বসে সুনির্দিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলন বলেন, বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণে এমনিতেই সংকটে রয়েছে আবাসন খাত। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ড্যাপ নিয়ে শঙ্কা। সংকট থেকে উত্তরণে নীতিনির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা অব্যাহত থাকবে।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এমজিআর নাসির মজুমদার, শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আবু মোতালেব, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জিটু, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, কামাল মাহমুদ, এএফএম ওবায়দুল্লাহসহ অন্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।